জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। আর অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ জন সিনেটর।
আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট থেকে নির্বাচিত সিনেটররা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, এই মেগা প্রকল্প সম্পর্কে সিন্ডিকেট ও সিনেট সভায় উপাস্থাপন করা হয়নি এবং তাদের কোন মতামত গ্রহণ করা হয়নি। মাস্টারপ্ল্যান করার সময় যথাযথ ধাপ অনুসরণ করা হয়নি এবং অংশিজনের সাথে আলোচনা করাও হয়নি।
তারা অভিযোগ করে বলেন, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদের কারো এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের যোগ্যতা নেই। উপাচার্য তার ব্যক্তিগত সচিবসহ অনুগত ও অদক্ষ ব্যক্তিদেরকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে রেখেছেন। এছাড়া উপাচার্য তার অনুগত ব্যক্তিদেরকে নিয়ে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় আর্কেটিক্ট ফার্ম নির্বাচন করেন।
এসময় তারা ই-টেন্ডার না করার কারণে টেন্ডার ছিনতাই হওয়ার ঘটনায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করে সমালোচনা করেন।
অভিযোগ সমূহের সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন এসব সিনেটররা।
উপাচার্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগে যেসব সিনেটর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা হলেন, কায়কোবাদ হোসেন, ইবাদুল্লাহ তালুকদার, আশীষ কুমার মজুমদার, মহব্বত হোসেন খান, শামীমা সুলতানা, আনোয়ার হোসেন মৃধা, আবুল কালাম আজাদ, মনোয়ার হোসেন, শরীফ এনামুল কবির, খন্দকার মহিদ উদ্দিন, ইন্দু প্রভা দাস, সোহেল পারভেজ, কৃষ্ণা গায়েন, মেহেদী জামিল, শামছুল আলম, মোহাম্মদ কামরুল আহসান, শামীমা সুলতানা, শিহাব উদ্দিন, সাবিনা ইয়াসমিন।
এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছে উপাচার্যপন্থী সিনেট সদস্যরা।
এছাড়া উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা দুর্নীতির অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ তিনদফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটায় ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন তারা।
এসময় ভবন দুটিতে প্রবেশের সবগুলো ফটক বন্ধ করে দেন অবরোধকারীরা। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভবনে প্রবেশ করতে না পেরে বাইরে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। সর্বশেষ দুপুর আড়াইটায় দেখা যায়, তাদের এই অবরোধ কর্মসূচি চলমান রয়েছে। অবরোধকারীরা জানান, বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার