ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে ‘অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক’ অ্যাখ্যা দিয়ে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ‘মুক্তমনা শিক্ষার্থী’র ব্যানারে এতে অংশ নেয় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। এ সময় তারা সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে সব ধর্মভিত্তিক ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশ থেকে কয়েক দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো, ধর্মভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির প্রস্তাব বাতিল করা, ক্যাম্পাসের সকল দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করতে হবে, প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে প্রথম বর্ষ থেকে বৈধ সিটের ব্যবস্থা করা, ও বিতর্কিত ডাকসু ভেঙে দিয়ে অনতিবিলম্বে পরবর্তী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা প্রভৃতি।
সমাবেশে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু এসেছে। প্রতিনিধিদের কাজ ছিল শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধান করা। কিন্তু তারা ধর্মভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষেধাজ্ঞা নিষেধাজ্ঞা খেলা করছেন। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি যদি বন্ধ করা হলে এ ক্যাম্পাস মুক্তমনা থাকবে না, প্রগতিশীল থাকবে না।
ধর্মভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের প্রস্তাবকে একক সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন যদি হয়ে থাকেন, তাহলে কোনো সংগঠনকে নিষেধাজ্ঞা করে নয়, বরং আদর্শিকভাবে প্রতিহত করুন। আর যদি প্রতিহত করতে ব্যর্থ হন, তাহলে ডাকসু থেকে পদত্যাগ করুন। আমরা দেখতে পেয়েছি, যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হয়েছে, তখন এ ধরনের ঘোষণা দিয়ে দুর্নীতিকে আড়াল করার পাঁয়তারা চলছে।
সমাবেশ থেকে দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, প্রয়োজনে হাইকোর্টে যাওয়ার কথাও জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার