চট্টগ্রাম শিবিরের ‘মিনি ক্যান্টম্যান্ট’ খ্যাত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিবির ‘শাসনের’ অবসানের পর পুরো ক্যাম্পাসের দখল নেয় ছাত্রলীগ। ২০১৫ সালের দিকে শিবির বিতাড়িত করে সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস দখলে নিলেও ছাত্রলীগ ভোগতে থাকে শিবির ম্যানিয়ায়। দাড়ি টুপি দেখলেই শিবির সন্দেহে মারধর করতে থাকে শাখা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। ২০১৫ সালের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিবির সন্দেহে সাধারণ শিক্ষার্থী নির্যাতন নিত্য দিনের ঘটনা। গত চার বছরে ছাত্রলীগের ম্যানিয়ার পরে হামলার শিকার হয়েছে কম করে হলেও অর্ধশত সাধারণ শিক্ষার্থী।
সর্বশেষ চলতি বছরের ২৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলের নিচ তলায় শিবির কর্মী সন্দেহে নুরুল ইমলাম নামের ওক ছাত্রকে বেদড়ক মারধর করেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এতে রডের আঘাতে গুরুতর আহত হন ওই শিক্ষার্থী। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। মারধরের শিকার শিক্ষার্থী নুরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শোয়াইবুল হককে এ এফ রহমান হলের ১২৯ নং রুমে ব্যাপক নির্যাতন চারানো হয়। টানা দুই ঘণ্টা মারধর করার পর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পুলিশ তদন্ত করে তার শিবির সংশ্লিষ্টতা পায়নি। দুদিন তদন্তের পর শোয়েবকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। ডাক্তাররা তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পায়। একই বছরের ২৯ জানুয়ারি ছাত্রলীগ বিরোধী স্ট্যাটাস দেয়ায় চবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদককে বেদড়ক মারধর করে আহত করা হয়। এছাড়াও ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট শিবির কর্মী সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী খোকন মিয়াকে ধারধর করে। খোকন মিয়া নিজেকে ছাত্রলীগ কর্মী বলে দাবি করেছির সাংবাদিকদের কাছে।
অন্যদিকে, শিবির সন্দেহে নিজ দলের আরেক কর্মীকে দুই দফায় মারধর করা করা হয়। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন