চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বর। কখনো এখানে বসে আনন্দের মিলনমেলা। কখনো তৈরি হয় শোকের আবহ। কিন্তু আজ ছিল ব্যতিক্রম। দূর-দূরান্ত থেকে আগত শত শত শিক্ষার্থীর চোখের জ্বলে ভেসেছে এ চত্বরটি। সাথে কান্নায় ভেঙে পড়েছিল তাদের অভিভাবকরাও।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে মানোন্নয়ন নিয়ে ভর্তি জটিলতায় পড়ে প্রশাসন। পরে বাধ্য হয়ে বুধবার আলোচনায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় কোর কমিটি। আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত জানান তারা। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা দাবি করছে প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তও অস্পষ্ট । গত বছর আবেদনের যোগ্যরা এ বছর আবেদনের যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে না। এটি প্রশাসনের স্পষ্ট সিদ্ধান্ত ছিল না। তাই অনেকেই পরীক্ষা দিয়ে মেধা তালিকায় স্থান করে নেয়।
এ নিয়ে বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেল দুইটার দিকে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে কোর কমিটির জরুরি সভা শুরু হয়। পুরো সময় ভুক্তভোগী ভর্তিচ্ছুরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। পাঁচটার সময় একাডেমিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার এসএম আকবর হোছাইন তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। তবে কোর কমিটির ‘স্পষ্ট’ কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। এতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বলা হয়, তোমরা বিষয় নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছ। তবে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পরবর্তীতে জানতে পারবে তোমরা ভর্তি হতে পারবে নাকি পারবে না। ভর্তিচ্ছুরা দাবি করছেন, প্রথম থেকেই তাদের একই কথা বলে আসছিল প্রশাসন। আগে বলা হয়েছিল বিষয় পছন্দের পর যাচাই বাছাইয়ে তারা বাতিল হয়ে যাবে।
এদিকে সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরও অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরেনি ওই পরীক্ষার্থীরা। এসময় এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর মা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাকে চবি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই পরীক্ষার্থীর নাম সানজিদা ইয়াসমিন। ভর্তিচ্ছুরা স্থান ত্যাগ না করলে একাডিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরিয়াল বডি বারবার এসে তাদের সরে যেতে বলেন। রাত পৌনে আটটার দিকে তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে। সেখান থেকে সরে যায়। এ ব্যাপারে একাডেমিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার এসএম আকবর হোছাইনের সাথে যোগাযোগ করা হলে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক