১ জুলাই, ২০২০ ১৯:৫৬
ঢাবির ৯৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মান নিশ্চিতের অঙ্গীকার

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মান নিশ্চিতের অঙ্গীকার

শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মান নিশ্চিত করার অঙ্গীকার গ্রহণের মধ্য দিয়ে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

করোনাভাইরাস প্রাদুভার্বের কারণে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আয়োজনে দিবসটি উদযাপিত হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়/ প্রসঙ্গ: আন্দোলন ও সংগ্রাম’।

উল্লেখ্য, ১৯২১ সালের ১ জুলাই দেশের উচ্চশিক্ষার শীর্ষ এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সীমিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড্ডয়ন ও ভার্চুয়াল আলোচনা সভা। 

সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড্ডয়নের মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। সকাল ১১টায় অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়/প্রসঙ্গ: আন্দোলন ও সংগ্রাম’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। 

এ সময় তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এদেশের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, মহান স্বাধীনতা আন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। একে ‘জাতীয় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, শুধু জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় নয়, বরং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এই বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

গবেষণার সম্প্রসারণ ও শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করাই হবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উৎসবের অঙ্গীকার উল্লেখ করে সভার সমাপনী বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে শিক্ষক, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজ করতে হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর গুণগত উৎকর্ষ সাধনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত ও আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। 

উপাচার্য বলেন, এবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবস এমন এক সময় উদযাপিত হচ্ছে যখন “মুজিববর্ষ” চলমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উৎসব এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপনের জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। কিন্তু ‘কোভিড ১৯’ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই মাহেন্দ্রক্ষণকে আমরা জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করতে পারছি না। এই দুঃসহ অবস্থা কেটে গেলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণাঢ্যভাবে উৎসব উদযাপনে করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে, সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতা সংগ্রাম ও অব্যবহিত পরে যারা শাহাদাৎবরণ করেছেন এবং করোনা মহামারীতে চিকিৎসক, নার্স ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ নিহতদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, শিক্ষক সমিতি, অ্যালামনাই এসোসিয়েশনসহ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমিতির নেতৃবৃন্দ যুক্ত ছিলেন। 


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর