২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:১১

কুবির হলে অস্ত্রসহ বহিরাগত যুবক

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুবির হলে অস্ত্রসহ বহিরাগত যুবক

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে এক বহিরাগত যুবক প্রবেশ করে ও চাপাতি সদৃশ একটি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, নিরাপত্তা কর্মী এবং শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। 

সোমবার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই যুবককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং তার পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, ওই যুবক মানসিকভাবে অসুস্থ। পরবর্তীতে তাকে পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

প্রক্টরিয়াল বডির জিজ্ঞাসাবাদে এই যুবক জানায়, তার নাম নুরন্নবী নিলয়, পিতার নাম জাহাঙ্গীর। তার বাড়ি কুমিল্লা সদর উপজেলার বাংলাবাজার সংলগ্ন ২৩ নং গেট এলাকায়। ওই যুবকের কাছ থেকে একটি বড় চাপাতি সদৃশ দেশীয় অস্ত্র, হিন্দিতে লেখা একটি চিরকুট, একটি এটিএম কার্ড ও একটি কম্পিউটার চিপ পাওয়া যায়।

প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, এই যুবককে চাপাতি সদৃশ একটি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং হলে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। পরে হল থেকে বের হয়ে সে মূল ফটক সংলগ্ন মামা হোটেলের সামনে গেলে সেখান হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে ধরে ফেলে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ফয়জুল ইসলাম ফিরোজ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তবে এঘটনায় একাধিক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রায়ই নিরাপত্তাকর্মীদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে বহিরাগতরা অবাধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনায় প্রবেশ করে। বিশেষ করে হলের গেটগুলোতে নিরাপত্তাকর্মীরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার নজরদারির অভাবে নিরাপত্তাকর্মীরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে না। এতে যেকোন সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা উচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, আমাদের মেইন গেট এবং হলগুলোতে নিরাপত্তাকর্মীরা দায়িত্বে থাকার পর অস্ত্রসহ এভাবে বহিরাগতদের প্রবেশ উদ্বেগজনক। যাতে এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় এবং যারা দায়িত্বে অবহেলা করছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলবো।

এবিষয়ে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক জেসমিন চাকমা বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি।  মনে হয়েছে ছেলেটি মানসিকভাবে অসুস্থ। আমরা তার অভিবাবককে তাকে ডেকে তাদের জিম্মায় দিয়েছি।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর