বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ এবং ‘বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক অনলাইন কুইজ প্রতিযোগীতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স হলে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।
‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনলাইন কুইজ প্রতিযোগীতায় বিজয়ী ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এরা হলো যথাক্রমে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মৌ মন্ডল, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাওনুর রহমান, লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী রিমা আক্তার, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তামিম হোসেন, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম মৌ, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল বৈরাগী, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহান নাসিম, ভূতত্ত¡ ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ওবায়েদুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহানা সুলতানা এবং একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম।
‘বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক অনলাইন কুইজ প্রতিযোগীতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব হাসান, লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী রিমা আক্তার এবং পদার্থ বিজ্ঞান শিক্ষার্থী মোঃ আবুল ফাতাহ্। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার হিসেবে সনদ ও বই তুলে দেন উপাচার্য।
এছাড়া অনলাইন কুইজ প্রতিযোগীতায় সার্বিক সহযোগীতা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে সম্মানীত করেন উপাচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্কিং এন্ড আইটি দপ্তরের পরিচালক রাহাত হোসাইন ফয়সাল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ তাসনুভা হাবিব, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার বাহাউদ্দীন গোলাপসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, তরুণ প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। যার নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং এসব সবকিছুতে যিনি প্রেরণা যুগিয়েছেন সেই মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব দেশের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা সম্পর্কে তরুণদের জানতে হবে। না হলে আজকের তরুণ প্রজন্ম ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠতে পারবে না। মনে রাখতে হবে- মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা এই বিষয়ে কোন আপস নাই।
বিডি প্রতিদিন/এএম