শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উদযাপন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নজরুলের প্রেম, বিদ্রোহী ও সাম্যবাদী গানগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে মঙ্গলবার (৩১ মে) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক সকল শিক্ষার্থীদের নজরুলের জীবনমুখী ও সাম্যবাদী গান-কবিতার চর্চার আহ্বান জানান।
এসময় তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখন জড়তা ও বিকারগ্রস্ততার প্রভাব অনেক বেশি দেখা যায়। নজরুলের গান ও কবিতার চর্চা বাড়াতে হবে। সাম্প্রদায়িকতা রোধে নজরুল চর্চার বিকল্প নেই।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, মে মাসেই বাংলাদেশে এসেছিলেন জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম। তাকে ভারত থেকে নিয়ে এসেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ কতৃক আয়োজিত অনুষ্ঠান নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। সংগীত বিভাগের ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষকবৃন্দকে একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে অনুষ্ঠান উপভোগের অপেক্ষায় রইলাম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ। অনুষ্ঠানে নজরুলের রচিত ‘দাও শৌর্য দাও ধৈর্য’ গানটি সমবেতকণ্ঠে গাওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। ‘মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম’ গানটির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন জীবন ও শিল্পের অনুরাগী। তিনি যেমন বিদ্রোহী ছিলেন তেমনি ছিলেন প্রেমিকও। সর্বদা সমতা ও শ্রেণি বিভেদহীন সমাজ গড়তে কলম চালিয়েছেন নজরুল। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে তিনি ছিলেন সকল মানুষের হৃদয়ে। আমাদের শিখতে হবে অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবতার গান, তার সুরের চর্চায় আমাদের জীবনকে রাঙ্গাতে হবে।
এসময় অনুষ্ঠানে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান, ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. আইনুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক চঞ্চল কুমার বোস, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ