রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ডাইনিং থেকে সংশ্লিষ্ট হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমানের চাঁদাবাজির ঘটনা ধামাচাপা দিতে হলটিতে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে নিজেই নিজের কথার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ। এতে চাঁদাবাজিতে প্রশ্রয় পাচ্ছে অভিযুক্ত দুই নেতা।
গতবছরের ডিসেম্বরে হল শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত দুই নেতার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে সাংবাদিকদের অভিযোগ জানান এ হল প্রভোস্ট। এ সময় তিনি অভিযুক্ত দুই নেতার বিরুদ্ধে হলের ডাইনিং, ক্যান্টিন ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হল প্রশাসনের কাছে চাঁদাবাজির তথ্য তুলে ধরেন। তার দেয়া এ তথ্যের ভিত্তিতেই করা অনুসন্ধানে এসবের প্রমাণ মিললে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে হল শাখা ছাত্রলীগের এ দুই নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির খবর প্রকাশ হয়।
খবর প্রকাশের পর নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে তৎপর হন দুই নেতা। পরে হল প্রভোস্টের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি বিজ্ঞপ্তি তৈরি করা হয়। যা অভিযুক্ত দুই নেতার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে শুক্রবার (২৯ জুলাই ) প্রকাশ করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, ‘হলের ডাইনিংয়ের মিল চার্জ বৃদ্ধি ও চাঁদাবাজির সাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
প্রভোস্টের স্বাক্ষরিত এমন নোটিশের কারণ জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো তদন্ত করে এটা দেয়া হয়নি। ওদের (সভাপতি সজীব ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ) পীড়াপীড়ির কারণে এটা দিয়েছি। আর ছাত্রলীগ মানে তো শুধু ওরা দু’জন না আরও অনেকে আছে। এজন্য বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট কারও নাম উল্লেখ করিনি। আর এই বিজ্ঞপ্তিতে কিছু যায় আসে না। কারণ নিউজ যেটা হওয়ার হয়ে গেছে, যেটা আসল সত্য সেটা বের হয়ে গেছে।’
গোপন সূত্রে জানা যায়, আগামী রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির জুনিয়র শিক্ষার্থীদের দ্বারা চাঁদাবাজিতে অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে একটি মানববন্ধন করার চেষ্টা চলছে। মানববন্ধনটি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে হচ্ছে এমনটি এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়টির জুনিয়র ব্যাচ যাদের ছাত্রলীগে এখনও পদ নেই- এমন ৭৭, ৭৮, ৭৯ ও ৮০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জোর পূর্বক উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, নতুবা তাদের হলের সিট নিয়ে ঝামেলা হবে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর