রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের ছাত্রী রিতা আক্তারের (২১) মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী ইশতিয়াক রাব্বীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে রিক্তার বাবা লিয়াকত জোয়ার্দার মতিহার থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর পুলিশ হেফাজতে থাকা রাব্বীকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন জানান, লাশ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় রিক্তার স্বামী রাব্বীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রিক্তা আক্তার আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জোতপাড়া গ্রামের লিয়াকত জোয়ার্দার মেয়ে। তার স্বামী ইশতিয়াক রাব্বী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। আড়াই বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তারা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকার ধরমপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
সকালে রাব্বির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে বাসার জানালার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর নিজে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর রাব্বীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ময়নাতদন্তের পর বিকালে রিক্তার মরদেহ ক্যাম্পাসে আনা হবে। এরপর কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন স্বজন, সহপাঠী ও বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক। এদিকে হত্যার ঘটনায় জড়িতের শাস্তির দাবিতে বিকালে মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছেন রিক্তার সহপাঠীরা।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর