শোকাবহ আগস্ট স্মরণে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। মাসজুড়ে এসব কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি। রবিবার সংগঠনটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আগামী ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। বাঙালি জাতির সবচেয় বেদনাময় এই দিবস এবং ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টায় বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী পালনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ সারাদেশে মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১ আগস্ট আগস্টের প্রথম প্রহরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে আলোক শিখা প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালন করবে ছাত্রলীগ। পহেলা আগস্টের প্রথম প্রহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
এছাড়াও ৫ আগস্ট সকালে শহীদ শেখ কামালের জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, ৮ আগস্ট সকালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিনে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ এবং বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনয়াতনে ছাত্রী সমাবেশ করবেন তারা।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে সূর্যোদয়ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সংগঠনের সকল স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। এদিন সংগঠনের নেতাকর্মীরা কালো ব্যাচ ধারণ করবেন। ওই দিন সকাল ৮:৪৫ মিনিটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য এবং সাড়ে নয়টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করবে ছাত্রলীগ।
সকাল ১১:১৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রতিনিধি টিম কর্তৃক শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করা হবে। এছাড়াও বাদ যোহর দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং সুবিধামত সময়ে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা/উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা এবং অসচ্ছল, এতিম ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। পরদিন আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করবেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটে কালো পতাকা মিছিল ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হবে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে সারাদেশে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ২২ আগস্ট ২১ আগস্ট স্মরণে টিএসসিতে আলোচনা সভার আয়োজন করবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ২৪ আগস্ট নারী নেত্রী বেগম আইভী রহমানের স্মরণে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২৭ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে ছাত্রলীগ।
৩১ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে আলোচনা সভা ও 'মাতৃভূমি'র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে ছাত্রলীগ। এতে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, উপজেলা, থানা, পৌর ইউনিটকে যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে আগস্ট মাসব্যাপী কর্মসূচী গ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্মরণে প্রত্যেক সাংগঠনিক ইউনিটকে আগস্ট মাসব্যাপী সুবিধাজনক দিন ঠিক করে আলোচনা সভার আয়োজন করার কথা বলা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
