চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ফেনী জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠনের নেতৃত্ব নিয়ে পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরপর দুই দিনে একই নামে গঠন করা হয়েছে দুটি কমিটি। প্রথম কমিটিতে পদ না পেয়ে পরেরদিন পাল্টা কমিটি গঠন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সংস্কৃত বিভাগের ফাল্গুনী দাস।
তিনি ১০৬ সদস্যের কমিটিতে সভাপতি মনোনীত হয়েছেন দাবি করছেন। তবে বিষয়টি জানেন পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টামন্ডলীর দুইজন সদস্য৷ তার কমিটির ১০৬ সদস্যের অধিকাংশই জানেন না তারা কোন পদ পেলেন।
ছাত্রলীগ নেত্রী ফাল্গুনী দাসের কমিটিতে প্রধান উপদেষ্টা রাখা হয়েছে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এ.কে. এম মোজাম্মেল হক লেলিনকে। তিনি বলেন, আমি কমিটির বিষয়ে কিছু জানিনা। আমার এসব কমিটির রাজনীতি নিয়ে কোনো সম্মতিও নেই।
এদিকে মূলধারার কমিটির সদ্য সাবেক সভাপতি এনায়েত তাহসিন বলেন, সংগঠনের উপদেষ্টাবৃন্দের অনুমতি ছাড়াই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেত্রী হয়ে এমন কাজ করা ঠিক হয়নি৷ ছাত্র সংগঠনের একজন নেত্রী থেকে এটা আশা করা যায় না।
ফাল্গুনী দাসের কমিটিতে সহ-সভাপতি পদ পাওয়া শাফায়েত আজাদ বলেন, এটা ব্যক্তি বিশেষের কমিটিতে আমাকে পদ দিয়ে অপমানিত করা হয়েছে। আমি এমন কমিটি চাই না। তিনি নিজের অনুমোদিত কমিটিতে নিজেই সভাপতি।
এবিষয়ে ফাল্গুনী দাস বলেন, আমাদের সেশনকে বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের। আমি চাই না আমাদের সেশন নেতৃত্ব থেকে বাদ পড়ে যাক। তাই আমরা আরেকটি কমিটি গঠন করেছি।
২০১৫-১৬ সেশনকে বাদ দিয়ে কমিটি ঘোষণা নিয়ে সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব পাবেল বলেন, আমরা টিউশনি এবং কোচিংয়ের টাকা দিয়ে এই সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছি। করোনা মহামারীর পরে এখন নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৫-১৬ সেশনের কেউ আগ্রহ নিয়ে দায়িত্ব নিতে এগিয়ে আসেনি। এছাড়াও তাদের শিক্ষাবর্ষও শেষ বলে সবাই ব্যস্ত। তাই সংগঠনের সক্রিয়তার বিষয় মাথায় রেখে কমিটি দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর