ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে শাহবাগ থানা থেকে ছাড়িয়ে ক্যাম্পাসে আসার পথে ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতার ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
এ ঘটনায় আহত ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয় শাখার দফতর সম্পাদক সালেহউদ্দিন সিফাত এবং অর্থ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন।
দুই নেতাকে মারধরের আগে দুইপক্ষের বাগ-বিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মেসেঞ্জারে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ কথাবার্তা বলার অভিযোগে মেফতাহুল মারুফ নামে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল প্রাধ্যক্ষ। তাকে ছাড়িয়ে আনতে শুক্রবার সকাল থেকেই শাহবাগ থানার সামনে অবস্থা নেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক-বর্তমান একদল শিক্ষার্থীসহ ছাত্র অধিকার পরিষদ পরিচালিত ‘স্টুডেন্ট এগেইনস্ট টর্চার (স্যাট)’ প্ল্যাটফর্মের নেতাকর্মীরা। অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় শুক্রবার দুপুরে পুলিশ মারুফকে ছেড়ে দিলে তাকে নিয়ে ‘শিক্ষার্থী হয়রানি’র প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করতে চান ‘স্টুডেন্ট এগেইনস্ট টর্চার (স্যাট)’ এর নেতাকর্মীরা।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলে আপত্তি জানান। তারা মারুফকে নিয়ে যেতে চাইলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়।
পরে এ ঘটনার জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের বিপরীত পাশে কবি জসীমউদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়ালিউল সুমনের একদল সমর্থক সিফাত ও আহনাফের ওপর হামলা চালান। এতে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে যখম হয়। পরে অন্যরা এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ ঘটনার বিচারের দাবি জানিয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আকরাম হোসেন। তবে, অভিযোগের ব্যাপারে মুঠোফোনে কল দিলে জসীম উদ্দিন হল ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়ালিউল সুমন তা রিসিভ করেননি।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
