হর্ন দেওয়ায় উত্তেজিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ড্রাইভারকে মারধরের অভিযোগ করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম তরিকুল ইসলামের আদালত এ দিন ধার্য করেন।
মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী কৌশিক সরকার সাম্যসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য আদালত নতুন এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২৭ জুন মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ড্রাইভার ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৬ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ড্রাইভার নজরুল ইসলাম বঙ্গভবন থেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতির নাতি ইসা আব্দুল্লাহকে (৮) প্রাইভেট পড়তে রাজধানীর ওয়ারী থানার চামু ডেল্টার মোড়ে নিয়ে যান। সেখানে মহামান্য রাষ্ট্রপতির নাতিকে নামিয়ে দেন। এরপর বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা দিলে ওয়ারী থানাধীন চামু ডেল্টার মোড় থেকে টিপু সুলতান রোডের মাথায় পৌঁছালে তখন আসামি কৌশিক সরকার সাম্য মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল।
এসময় গাড়ির ড্রাইভার নজরুল পেছন থেকে গাড়ির হর্ন দিলে আসামি উত্তেজিত হয়ে গাড়ির দিকে আসেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে ড্রাইভারের মুখে থুথু নিক্ষেপ করেন এবং গাড়ির পেছনে জোরে লাথি মারেন আসামি কৌশিক। আসামির পরিচয় জানার চেষ্টা করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে মোবাইলে অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে ডেকে নিয়ে আসেন। এরপর আসামি কৌশিকসহ অন্যরা পরস্পর যোগসাজশে ভুক্তভোগী নজরুলকে গুরুতর আঘাত করার উদ্দেশে মুখে ও পিঠে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। পরবর্তী সময়ে আসামিরা হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত