খেলায় অংশগ্রহণের বাজেটের দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পযর্ন্ত দেড় ঘণ্টা গেট বন্ধ রাখে আন্দোলনকারীরা। ফলে ক্লাস-পরীক্ষা শেষে বাসসমূহ নির্ধারিত সময় বেলা ২টায় যাওয়ার কথা থাকলেও দেড় ঘণ্টা দেড়িতে সাড়ে ৩টায় ছেড়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পস টুর্নামেন্ট। এ টুর্নামেন্টে ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, বাস্কেটবলসহ ১১ ধরণের খেলায় অংশগ্রহণের সক্ষমতা রয়েছে খেলোয়াড়দের। তবে বাজেট কম থাকায় ৫টি দল অংশ নেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পরে ১১ ধরনের ক্যাটাগরির খেলায় অংশগ্রহণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করেন খেলোয়াড়রা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস আটাকে পড়ে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল কয়েকবার আলেচনায় বসে বিষয়টির সমাধানের আশ্বাস দিয়ে পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে সাড়ে ৩টায় দিকে ক্রীয়া বিভাগের পরিচালক তাদের দাবি উপাচার্য মেনে নেওয়ার কথা জানালে আন্দোলন স্থগিত করেন। ফলে বাসসমূহ নির্ধারিত সময় বেলা ২ টায় যাওয়ার কথা থাকলেও দেড় ঘণ্টা দেড়িতে ছেড়ে যায়।
এতে ভোগান্তি পোহাতে হয় ২ হাজার ৫০০ শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়েল বাস থেকে নেমে গণপরিবহনে করে গন্তব্যে ফিরেছেন।
বাসে আটকে থাকা শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রধান ফটক আটকানোর পরপরই প্রশাসন চাইলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করতে পারতো। প্রশাসনের অদূরদর্শী আচরণের কারণেই প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।
আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘বাস আটকে রেখে আন্দোলনের কোন মানে হয় না। কোন দাবি থাকলে কথা বলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান আছে। এভাবে সকলকে ভোগান্তিতে ফেলা উচিত নয়।’
এ ছাড়া একই দাবিতে সোমবার ক্রীড়া বিভাগের গেটে তালা দিয়ে এবং উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন তারা। এতে ক্রীড়া বিভাগের কর্মকর্তারা দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকে।
ক্রীড়া বিভাগের পরিচালক ড. সোহেল বলেন, ‘তারা খেলায় অংশগ্রহণের জন্য আন্দোলন করছিলেন। তাদের দাবি উপাচার্য মেনে নেওয়ায় আন্দোলন স্থগিত করেছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম বলেন, ‘আমরা নীতিগতভাবে খেলায় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তারপরেও এভাবে আন্দোলন করলো? তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেও দাবিগুলো জানাতে পারতো।’
বিডি প্রতিদিন/এএম