বাংলাদেশ গণিত সমিতির ৫০ বছর উপলক্ষে অর্ধশতাধিক বরেণ্য গণিতবিদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ মুজিবুর রহমান গণিত ভবনে এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া আন্তর্জাতিক গণিত প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কার প্রাপ্তদের আর্থিক পুরস্কার ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
সমিতির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ গণিত সমিতি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুস ছামাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গণিত সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাবুল হাসান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শিক্ষার্থীদের কাছে গণিতকে আরও আকর্ষণীয় ও সহজবোধ্য করে উপস্থাপনের জন্য গণিতবিদদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গণিত সকল বিজ্ঞানের মা। গণিত শিক্ষার উন্নয়ন ছাড়া বিজ্ঞান শিক্ষার উৎকর্ষ সাধন সম্ভব নয়। এছাড়া গণিতের ভিত মজবুত করতে তিনি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে দক্ষ ও মানসম্পন্ন গণিত শিক্ষক নিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, গণিতের প্রয়োগ দিক বিশেষ করে রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি ও যুক্তিবিদ্যাসহ সর্বক্ষেত্রে। এমন কোন শাখা নেই যেখানে গণিতের প্রয়োগ নেই।
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন অধ্যাপক সালেহ মতিন, ড. এম শমসের আলী, অধ্যাপক হারুন-অর রশিদ, অধ্যাপক শেখ সোহরাব উদ্দিন ও অধ্যাপক সুব্রত মজুমদার।
সংবর্ধনাপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান গণিতবিদরা হলেন- অধ্যাপক ড. শেখ সোহরাবুদ্দীন, অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক শরীফ, অধ্যাপক ড. মু. জাকেরুল্লাহ, অধ্যাপক ফাতেমা চৌধুরী, অধ্যাপক যোবেদা আখতার, অধ্যাপক ড. সুব্রত মজুমদার, সেতারা বানু চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল চৌধুরী, নূরন্নবী খোন্দকার, অধ্যাপক ড. শমসের আলী, অধ্যাপক ড. মুনিবুর রহমান চৌধুরী, অধ্যাপক এ এম এম আহসান উল্লাহ্, খন্দকার আবদুল হাকিম, দেব রক্ষিত বড়ুয়া, ফরিদা বানু, অধ্যাপক ড. আবদুল মতিন, অধ্যাপক ড. মোবারক হোসেন, খোদেজা খাতুন, অধ্যাপক সাজেদা বানু, অধ্যাপক মোসলেহ্ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. ওবায়েদ উল্লাহ্, অধ্যাপক সালেহ মতিন, অধ্যাপক ড. আবুল মুনসুর চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সাত্তার, অধ্যাপক ড. মো. মাহিউদ্দিন, অধ্যাপক ড. মোখলেসুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. অখিল চন্দ্র পাল, অধ্যাপক ড. শাহাবুদ্দিন, অধ্যাপক ড. নির্মল কান্তি মিত্র, অধ্যাপক ড. নুরুল আলম খান, অধ্যাপক ড. পীয়ূষ তরফদার, অধ্যাপক শিপ্রা রায়, কহিনুর বেগম, অধ্যাপক ড. নীলুফার ফরহাত হোসেন, অধ্যাপক আবু ইউসুফ, মমতাজ বেগম, অধ্যাপক ড. নিরঞ্জন কুমার বসাক, অধ্যাপক ড. রত্নেশ্বর কর্মকার, বিভূতি ভূষণ ঘোষ, অধ্যাপক ড. মতিউর রাহমান, অধ্যাপক ড. মুন্সী নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কামরুল ইসলাম, আম্বিয়া খাতুন, অধ্যাপক হারুনুর রশীদ, শামসুল হক, অধ্যাপক আহমেদ শিবলী ফোরকান, অধ্যাপক সত্রাজিৎ কুমার সাহা, অধ্যাপক ড. মকবুল হোসেন, অধ্যাপক মুহম্মদ মুসা খান, খান কলিমুল্লাহ, অধ্যাপক ড. আবু সালে আবদুন নূর, অধ্যাপক অজিত কুমার ঘোষ, অধ্যাপক মুহম্মদ আব্দুল মালেক, অধ্যাপক ড. আবুল এল হক, আব্দুল মজিদ তুলা, অধ্যাপক ড. খান আবদুল মতিন, অধ্যাপক ড. মাধবী ইসলাম, অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান, অধ্যাপক ড. জাহানারা বেগম এবং অধ্যাপক ড. তপন কুমার দেবনাথ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত