সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমীক্ষা শুরু করেছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষ ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা বিভাগের চেয়ারম্যান রিফাত-উর-রহমানের নেতৃত্বে গত শনিবার থেকে মাহাতো সম্প্রদায়ের ঝুমুর নাচের উপর সমীক্ষা পরিচালনা করছেন। প্রথম বর্ষের ৩৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি অনুসরণ করে সমীক্ষাটি সম্পন্ন করেন। আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ২৫ জন শিক্ষার্থী মাহাতো জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী ঝুমুর নৃত্যের উপর তাদের মাঠকর্ম সম্পাদন করবেন।
বিভাগের চেয়ারম্যান রিফাত-উর-রহমান জানান, বাংলাদেশের সমতলের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাস। এদের মধ্যে সাঁওতাল, ওরাওঁ ও মাহাতো প্রভৃতি জনগোষ্ঠীর মানুষ সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলা বিশেষত ধামাইনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। বাংলাদেশ আয়তনে ক্ষুদ্র হলেও পরিবেশগত ভাবে এটি যেমন পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বদ্বীপ, নদ-নদীগুলো যথেষ্ট বৈচিত্র্যময় ঠিক একইভাবে এদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও বেশ সমৃদ্ধ। অন্যান্য আদিবাসীদের মতো মাহাতো জনগোষ্ঠীর ভাষা, কৃষ্টি, লোক ঐতিহ্য ও জনশ্রুতি বেশ সমৃদ্ধ। যদিও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কারণে ক্রমান্বয়ে আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক প্রেক্ষিত হুমকির সম্মুখীন। তথাপি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মাহাতো জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণা করতে আগ্রহী। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা মাহাতোসহ অন্যান্য আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়াও দলটি অতীত মানুষের সাথে পরিবেশের আন্তঃসম্পর্ক বোঝার জন্য ক্ষিরতলার বিভিন্ন প্রত্নস্থল অনুসন্ধান করছে। ইতোমধ্যে বিরাট রাজার ঢিবিসহ বেশ কয়েকটি প্রত্নস্থল শনাক্ত করে তারা গবেষণা কার্যত অব্যাহত রেখেছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন