৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২১:৩৯

জাবি শিক্ষকের যৌন হয়রানির তদন্তে লুকোচুরির অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

জাবি শিক্ষকের যৌন হয়রানির তদন্তে লুকোচুরির অভিযোগ

প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির যৌন হয়রানির ঘটনায় তদন্ত নিয়ে লুকোচুরির অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত নিয়মিত সিন্ডিকেট সভাকে কেন্দ্র করে এক অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে এসব অভিযোগ করেন প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি এ ঘটনার সঠিক ও দ্রুত তদন্তের দাবি করেছেন তারা।

এ সময় শিক্ষক জনির যৌন হয়রানির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন লুকোচুরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শৌমিক বাগচী।

তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান জনির যৌন হয়রানির ঘটনা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে বাঁচাতে চায়। যার কারণে দেখা যায় প্রক্টর, সহকারী প্রক্টররা জোরপূর্বক দায়মুক্তি পত্র নিতে সহায়তা করে। আগের তদন্ত কমিটি তদন্ত কাজে লুকোচুরি করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জেনেছি আজকের সিন্ডিকেট সভায় যৌন হয়রানির ঘটনা আলোচনার কথা থাকলেও পরে প্রস্তাবনা থেকে বাদ দেয়া হয়। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সিন্ডিকেট সভা সিনেট হলে অনুষ্ঠিত হলেও আজকে হঠাৎ করে তারা নতুন প্রশাসনিক ভবনে সিন্ডিকেট সভা বসিয়েছে। এটা লুকোচুরি ছাড়া কিছুই নয়।

জাবি শাখা ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রয় বলেন, শিক্ষকদের যে নৈতিক মান তা প্রতিনিয়ত খুবই খারাপ পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষকদের কাছে এখন ছাত্রীরা নিরাপদ নয়। এই একটি ঘটনাকে প্রশ্রয় দিয়ে প্রশাসন নিজেদের ঘটনাগুলোকে শাক ঢাকা দিতে চায়। এখন থেকে শিক্ষকদের মূল্যায়নও হতে হবে।

অবস্থান কর্মসূচি শেষে শিক্ষক জনির যৌন হয়রানির তদন্তে স্ট্রাকচারড কমিটি গঠনসহ ৩ দফা দাবিতে সিন্ডিকেট সভায় একটি আবেদনপত্র প্রেরণ করেন তারা। তাদের অন্য দাবিগুলো হলো-‘দায়মুক্তি’ পত্রের ঘটনায় সংবাদপত্রের তথ্যের ভিত্তিতে প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরের সংশ্লিষ্টতা যাচাই করা এবং একমাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা।

উল্লেখ্য, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে একই বিভাগের ৪৩ ব্যাচের এক ছাত্রী শারীরিক, মানসিক এবং সর্বশেষ যৌন হয়রানি ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হওয়ার অভিযোগ করেন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর