১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৯:০৯

মুখে স্কচ টেপযুক্ত রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য ‘গুম’, যা বলছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

অনলাইন ডেস্ক

মুখে স্কচ টেপযুক্ত রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য ‘গুম’, যা বলছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সেই জায়গায় এখন ছবির ব্যানারটি দেখা যাচ্ছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্রনাথের একটি ভাস্কর্যটি বসিয়েছিল। কিন্তু তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা বহির্ভূত উল্লেখ করে প্রশাসন এটি সরিয়ে ফেলেছে।

মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে স্থাপন করা হয়েছিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্যটি। এর মুখ স্কচ টেপ দিয়ে আটকানো, হাতে ধরে থাকা গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থটিও রক্তাক্ত পেরেক ঠুকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটা কবিকে কথা বলা এবং তার চিন্তার প্রকাশ জোর করে আটকে রাখার প্রচেষ্টা হিসেবে ব্যাখা করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভাস্কর্যটি আর দেখা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার ভোরে ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ভাস্কর্যটি যেখানে রাখা হয়েছিল এখন সেখানে ‘গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ’ এমন লেখা সংবলিত ব্যানার টানানো আছে।

ভাস্কর্য স্থাপনের সাথে যুক্ত ও ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের একাংশের সভাপতি শিমুল কুম্ভকার বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এটি আর নেই। আমরা এখন পর্যন্ত জানি না এটি কে বা কারা সরিয়েছে। আমরা কিছু সময় পর প্রক্টর স্যারের সাথে দেখা করব এবং এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করব।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা জানার চেষ্টা করছি ভাস্কর্যটা ওখানে কারা বসিয়েছে। কেন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ভেতর অনুমতি ছাড়া একটা নান্দনিক ভাস্কর্যের সাথে আরেকটা ভাস্কর্য বসিয়ে এর সৌন্দর্য নষ্ট করা হয়েছে। প্রশাসন এটি সরিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি নান্দনিক ভাস্কর্যের সাথে আরেকটি ভাস্কর্য বসিয়ে এর সৌন্দর্য নষ্ট করা হয়েছে। এ ছাড়া এইসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নীতিমালা আছে। নীতিমালার বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে না জানিয়ে এটি স্থাপন করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এটি সরিয়ে ফেলেছে। তিনি এসব বিষয়ে নীতিমালা বহির্ভূত কোনো কিছু স্থাপন না করার আহ্বান জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ এবং বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী এই ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। তারা জানান, বিশ্বকবির এই ভাস্কর্যের মাধ্যমে মানুষকে তাদের বাক ও মত প্রকাশে স্বাধীনতার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করা হয়েছে। এটি ফেব্রুয়ারি মাসজুড়েই প্রদর্শন করা হবে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর