সমন্বিত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনেক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী দেরি করে এসেছে, আবার অনেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র নিয়ে আসেনি তাদের সহযোগিতার মাধ্যমে কেন্দ্রে পৌছে দিয়েছে জয় বাংলা বাইক সার্ভিস। এতে সন্তুষ্ট ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
ইবি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা নাঈমুল ইসলাম বলেন, আমি একদম সর্বশেষ মিনিটে ক্যাম্পাসের গেটে পৌঁছেছি। কোন ভবনে সিট পড়েছে সেটাও চিনি না। গেট থেকে ওই ভবনে প্রায় ৬-৭ মিনিট লাগত। তবে জয় বাংলা বাইক সার্ভিস আমাকে ২ মিনিটের মধ্যে কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়। যা আমার স্বপ্নপূরণে সহযোগিতা করেছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।
আরেক পরীক্ষার্থী স্বপ্না রাণী বলেন, আমি ক্যাম্পাসে এসেই কোনটা কেন্দ্র বুঝতে পারছিলাম। আবার প্রবেশপত্র ভুলে নিয়ে আসিনি। পরে তাদের জয় বাংলা বাইক সার্ভিস প্রবেশপত্র ডাউনলোড দিয়ে সঠিক সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছে। তাদের সহযোগিতা আমাকে ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে সহযোগিতা করেছে।
এছাড়া পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ, ঠান্ডা পানি ও খাবার স্যালাইের ব্যবস্থা, মাস্ক ও কলম বিতরণ, ইলেকট্রনিকস ডিভাইসসহ সঙ্গে আসা অভিভাবক কর্ণারসহ সার্বিক সহযোগিতা করছে শাখা ছাত্রলীগ। পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের নেতৃত্বে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেত-কর্মীরা।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছে সব বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের ব্যাগ রাখা, ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিরাপদে রাখার ব্যবস্থাসহ পরীক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে ভবনে পৌছে দিতে জয় বাংলা বাইক সার্ভিস কাজ করেছে। এ ছাড়া অভিভাবকদের জন্য ঠান্ডা পানির ব্যবস্থাসহ সার্বিক সহযোগিতা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।’
শনিবার সকাল ১২টায় পর্যন্ত একযোগে ১৯টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় ১ টায়। পরীক্ষা চলাকালীন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নেন।
প্রসঙ্গত, এ বছর ইবি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পছন্দ করেন ১৩ হাজার ১৮৩ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল