চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বাগবিতণ্ডার জেরে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৩ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা চবির একজন কর্মচারী এবং স্থানীয় বাসিন্দা। তার নাম বখতিয়ার উদ্দিন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বখতিয়ার উদ্দিনের সাথে এক ছাত্রলীগ কর্মীর মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে এবং কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বখতিয়ার উদ্দিন চড়াও হয়ে ছাত্রলীগ কর্মীকে আঘাত করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এ ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয় জড়িত। এসময় তারা দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে দুই নম্বর গেইট এলাকা ঘেরাও করে।
সংঘর্ষে জড়িত বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ছাত্রলীগের নামধারী বখাটেরা আমাকে মারধর করেছে। কোনও কারণ ছাড়াই মারধর করায় স্থানীয় বাসিন্দারা এর প্রতিবাদ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী জামিল আহমেদ শাওন বলেন, তারা আমাদের ওপর হঠাৎ হামলা চালায়। এতে তিন ছাত্র আহত হয়েছে। সিনিয়রদের জানালে তারা এ হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছেন।
বিজয় গ্রুপের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়রা হামলা চালিয়েছেন। আমরা বিষয়টা সমাধানের চেষ্টা করছি।
এ দিকে সংঘর্ষের এ ঘটনার পর রাত সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির কার্যালয়ে হওয়া এ বৈঠকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডি ও উপ-উপাচার্য ( প্রশাসন) উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, আমরা এঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তারা দুইদিনের মধ্যে রিপোর্ট দিবেন। এর উপর ভিত্তি করে দোষীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ