জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফাইরোজ অবন্তিকা আত্মাহত্যা করেছেন। ফাইরুজ অবন্তিকা আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দোষারোপ করেন।
ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাকে প্রশাসনিক ও একাডেমিক সব কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের জন্য আইন অনুষদের ডিনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। যেহেতু অভিযুক্তের একজন আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য। উপাচার্য সাময়িকভাবে তাকে অব্যাহতি প্রদানের মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন। আইনগত প্রক্রিয়ায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম বলেন, এর সঙ্গে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। মেয়েটার সাথে দেড় বছর আগে আমাদের কথা হয়েছে ছেলেটার বিষয় নিয়ে। আমি চাই এই ঘটনার সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
এ বিষয়ে আম্মান সিদ্দিকী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে উনার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করিনি। এমনকি ফেসবুক, মেসেঞ্জার বা কোনও জায়গাতেই কানেক্টেড না আমি। আমাকে দোষী প্রমাণের জন্য এভিডেন্স লাগবে। এভিডেন্স ছাড়া এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় তিনি কুমিল্লার ঠাকুরপাড়া নিজ বাড়িতে ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা যান বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন তার বড় ভাই যাওয়াদ অপূর্ব।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ