রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পড়ে আমরণ অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা অনশন ভাঙার আহ্বান জানালেও রাজি হননি অনশনকারীরা। এ কোটা বাতিল না করা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. আমিরুল ইসলাম বলেন, আমরা তাদের অনশন ভাঙার চেষ্টা করছি। এ কোটা ও আসন্ন রাকসু নির্বাচন নিয়ে একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শিক্ষক-কর্মকর্তারা দাফতরিক কাজ সম্পূর্ণ শাটডাউনের আল্টিমেটাম দিয়েছিল। কদিন পর নির্বাচন। সব মিলে বাধ্য হয়েই দাবি মানতে হয়েছে।
কাফনের কাপড়ে অনশনকারী আশাদুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আসন্ন ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল সংসদের ভিপি (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তিনি বলেন, কোটার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করলাম, রক্ত দিলাম, অবশেষে সফল হলাম। এখন বিপ্লবী প্রশাসন দায়িত্ব নিয়ে সেই কোটা ফিরে আনলো। এর থেকে প্রহসন তো কিছু হতে পারে না। এই সিন্ডিকেট ভাঙতেই হবে। এ কোটা বাতিল না করা পর্যন্ত অনশন ভাঙবো না।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, অনেকে ৬০ নম্বর পেয়ে সংস্কৃত, উর্দু, ফার্সির মতো বিভাগে ভর্তি হয়। অথচ একই বছর ৪০-৪৫ নম্বর পেয়ে পোষ্য কোটায় আইন বা ইংরেজির মতো বিভাগে ভর্তি হয়। এই বৈষম্য মানি না। যে কোটার করব হয়েছে। সেটা এ ক্যাম্পাসে আর ফিরতে দেবো না।
এর আগে, এ বছর শুরুতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিল করে প্রশাসন। তবে পোষ্য কোটাকে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা অ্যাখ্যা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এ দাবিতে কয়েক দফা কর্মবিরতিও করেন তারা। ১৭ সেপ্টেম্বর দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটি পোষ্য পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তৎক্ষণাৎ উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে শিবির, ছাত্রদল ও সমন্বয়কসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত