শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহিদ আল সালাম নিহতের ঘটনায় পুলিশ দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে। তার মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অপরজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমা থানায় নিহত মাহিদের চাচা ও নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হল মির্জা আতিক, সায়েফ মো. রিপন, শাকিল ও রাসেল। এ চারজনই ছিনতাইকারী বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে মির্জা আতিক ও সায়েফ মো. রিপনকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল বলেন, আতিক ও রিপনকে বুধবার সিলেট মহানগর হাকিম ১ম আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে আতিক ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। আদালতের বিচারক মামুনুর রশীদ সিদ্দিকী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। অপর আসামি রিপনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আতিকের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ওসি ফজল বলেন, ‘আদালতে আতিক বলেছে, ছিনতাইয়ে বাধা প্রদান করায় শাবি শিক্ষার্থী মাহিদকে ছুরিকাঘাত করা হয়।’
প্রসঙ্গত, গত রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহিদ আল সালাম (২৮) সিলেট নগরীর কদমতলিতে ছিনতাইকারীদের হাতে ছুরিকাহত হন। তিনি চাকরির সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন। মাহিদ শাবির অর্থনীতি বিভাগের ২০০৮-০৯ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি ২০১১-১২ সেশনের সাথে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তার পরীক্ষার ফলাফল এখনও প্রকাশ হয়নি। সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকার বাসিন্দা মাহিদের বাবা প্রয়াত এডভোকেট এমএ সালাম।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন