সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে এক এতিম কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ধর্ষক নাজুকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নাজু উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের নালেরবন্দ গ্রামের আলীনূর মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, মঙ্গলবার মধ্য রাতে ধর্ষক নাজু মিয়াকে তাহিরপুর সদর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে দুইদিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ দায়রা জজ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।
পরে বুধবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরীর মা বাদি হয়ে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৪-৪-১৮ ইং। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ধর্ষিতার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের নালের বন্ধ গ্রামের আলিনূরে বখাটে ছেলে নাজু ফোন করে ওই এতিম কিশোরীকে ঘরের বাহিরে নিয়ে আসে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজের বাড়ির সামনে ধান ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে ধর্ষণের বিষয়টি নাজুর বাবা-মাকে জানায় ওই এতিম কিশোরী। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই এতিম কিশোরীকে মারধর করে ওই ধানক্ষেতেই ফেলে রাখে। পরে সোমবার সকালে গ্রামবাসী পুলিশকে বিষয়টি জানালে তাহিরপুর থানার এস আই সাইফুর রহমান ও এস আই আমির হোসেন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে এতিম কিশোরীকে ধানক্ষেত থেকে কাদা মাখা অবস্থায় উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে রেখে যান।
পরে মঙ্গলবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার পর থেকেই ধর্ষকের প্রভাবশালী পরিবার বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য থানা পুলিশের সঙ্গে রফা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ফলে ওই কিশোরীর মাকে মামলা না করতে হুমকি দেয় ধর্ষকের লোকজন।
ওই কিশোরীর মা বলেন, ধর্ষক নাজুর বিরুদ্ধে থানা পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে না চাইলেও অবশেষে মামলা নিয়েছে। তিনি প্রশাসনের কাছে ধর্ষকের উপযুক্ত বিচার চান।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি ধর জানান, ভিকটিমের মা ধর্ষক নাজুর বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নাজুকে কোর্টের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/০৬ এপ্রিল ২০১৮/এনায়েত করিম