সিলেটে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করতে চলছে নানা প্রস্তুতি। সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে কোথাও চলছে অনুষ্ঠানের মহড়া, আবার কোথাও চলছে আলপনা আঁকার কাজ। সবমিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। ব্যস্ততার এই হাওয়া লেগেছে শিল্পকলা একাডেমিতেও। বর্ষবরণ ছাড়াও পুরনো বছরকে বিদায় জানাতেও আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের।
প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও পুরনো বছরকে বিদায় জানাতে নগরীর চাঁদনীঘাটে ক্বিনব্রিজের নিচে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ। শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চাঁদনী ঘাটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলা ১৪২৫ সালকে বিদায় জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত।
এদিকে, বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে নগরীর ব্লু-বার্ড স্কুল ও কলেজ মাঠে এবারও দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রুতি। শনিবার সকাল ৭টায় শতকন্ঠে বর্ষবরণের গান দিয়ে শুরু হবে সংগঠনটির বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি শ্রুতির উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে বৈশাখী মেলার। মেলাসহ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন শ্রুতির পরিচালক সুমন্ত গুপ্ত। এছাড়া সকাল সাড়ে ৬টায় শ্রীহট্ট সংস্কৃত কলেজ মাঠে আনন্দলোকের উদ্যোগে শুরু হবে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে অনুষ্ঠানের মঞ্চতৈরির কাজ। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগেও সকাল ৮টায় বের হয়ে মঙ্গলশোভাযাত্রা। সকাল ৯টা থেকে শহীদমিনারে শুরু হবে উদীচীর উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এছাড়া জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে গান, নৃত্য, আবৃত্তিসহ নানা অনুষ্ঠানের। বেলা দেড়টা থেকে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে শেষ হবে বিকেল সাড়ে ৪টায়।
আজ বিকেলে শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে দেখা গেছে রঙতুলি নিয়ে ব্যস্ত শিল্পীরা। চারুশিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন মুখোশ, আল্পনা রাঙানোর কাজে। এছাড়া চলছে অনুষ্ঠানের মঞ্চ তৈরি ও সাজসজ্জার কাজ। আজ বিকেলের মধ্যে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্ত।
এদিকে, বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঘিরে সিলেটে পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নববর্ষের দিন অনুষ্ঠানস্থল ছাড়াও নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) মো. আবদুল ওয়াহাব।
এদিকে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং এমসি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বর্ষবরণের ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার