সাগরপথে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ট্রলার ডুবে নিহত হয়েছেন সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার ৬ জন যুবক। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরো বহু সিলেটীসহ বাংলাদেশী যুবক।
ছয় জনের মধ্যে চার জনেরই বাড়ি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায়। তারা হচ্ছেন- উপজেলার সেনেরবাজার কটালপুর এলাকার মুহিদপুর গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে আহমদ হোসেন (২৪), একই গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে আব্দুল আজিজ (২৫), সিরাজ মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (২৪) ও মানিকোনা গ্রামের মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে আফজাল মোহাম্মদ (২৫)।
লিটন মিয়ার পিতা সিরাজ মিয়া জানান, ৮ লাখ টাকার চুক্তিতে ইতালি যাওয়ার কথা ছিল লিটন মিয়ার। সিলেটের রাজা ম্যানশনের ইয়াহইয়া ওভারসীজ নামক এজেন্সির সাথে এমন চুক্তি হয়েছিলো তাদের। এই এজেন্সির মালিক এনাম আহমদের বাড়ি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায়। এলাকার পরিয়ের সুবাদেই এ চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন তারা। ফেঞ্চুগঞ্জের আরো কয়েকজন এই এজেন্সির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।
সিরাজ মিয়ার চার ছেলের মধ্যে দ্বিতীয় লিটন মিয়া (২৪) সদ্য লেখাপড়া শেষ করেছিল।
এছাড়া এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদের ছোট ভাই কুলাউড়ার ভুকশিমাইলের আহসান হাবিব শামীম এবং তার শ্যালক গোলাপগঞ্জের শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের কদুপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছোট ছেলে কামরান আহমদ মারুফ।
এই ট্রলারে মারুফের বড় ভাই মাছুম আহমদও (২৫) ছিলেন। কিন্তু এ সময় জেলেরা ১৬ জনকে উদ্ধার করেছে। এই উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে মাছুম আহমদও রয়েছে। তিনি ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন