ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরব গিয়ে সেখান থেকে তুরস্কে অনুপ্রবেশ। সুযোগ বুঝে পরে ইতালিতে পাড়ি জমানো। এমন পরিকল্পনা ছিল সিলেটের তিন যুবকের। কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি।
সোমবার সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ বিমানের এই তিন যাত্রীকে। তাদের ব্যাপারে অনুসন্ধানও শুরু করেছে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
ওই তিন যুবক হলেন, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানার দৌলতপুর গ্রামের মন্তাজ আলীর ছেলে রেজওয়ান আহমদ, জকিগঞ্জের পাকুড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে জাকির হোসেন ও হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার গুলধুবা গ্রামের মকদ্দস আলীর ছেলে জাহিদ উদ্দিন।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ৬০২ ফ্লাইটে ঢাকা হয়ে সৌদি আরবের জেদ্দায় যাওয়ার কথা ছিল এই তিন যুবকের। বিমান উড্ডয়নের কিছুক্ষণ আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই তিন যুবককে অফলোড করা হয়। এরপর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
ওই ফ্লাইটের যাত্রী আটাব সিলেট জোনের সভাপতি আবদুল জব্বার জলিল জানান, সিলেটের একটি ট্রাভেলসের মাধ্যমে ওই তিন যুবক ওমরাহ ভিসা নিয়ে জেদ্দায় যাচ্ছিল। পরে সেখান থেকে তুরস্ক হয়ে ইউরোপের অন্য কোনো ভালো দেশে পাড়ি জমানোর পরিকল্পনার কথা তারা স্বীকার করেছে।
ইমিগ্রেশন পুলিশের সহকারী কমিশনার সাইফুজ্জামান ফারুকী বলেন, যাত্রীরা পৃথক জিজ্ঞাবাদে ওমরা হজ্জের ভিসা নিয়ে তুরস্ক হয়ে ইউরোপ যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। প্রাথমিকভাবে পাসপোর্ট টিকেট রেখে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হলেও তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে সোমবারই চিঠি দেয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন