সিলেটের ওসমানীনগরে দীর্ঘদিন ধরে পিতার লালসার শিকার হয়ে আসছে মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক শিশুকন্যা (১৪)। উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকারা (নোয়াগাঁও) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় পলাতক রয়েছেন পিতা। এ ঘটনায় রবিবার ওসমানীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন শিশুটির চাচী।
জানা যায়, নির্যাতনের শিকার শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির আবাসিক শিক্ষার্থী। গত রমজানের ছুটিতে বাড়ি এসে প্রায় দেড়মাস অবস্থান করে। এ সময় তার পিতা নিয়মিত তাকে জোরপূর্বক নির্যাতন করতেন। ভয়ে বিষয়টি গোপন রেখে মেয়েটি আবারো মাদ্রাসায় ফিরে যায়। পরবর্তীতে গত ঈদুল আযহার ছুটিতে বাড়ি এলে আবারো তার ওপর যৌন নির্যাতন চালান পিতা। এতদিন ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখলেও গত বৃহস্পতিবার শিশুটি বাড়িতে ফিরে ঘটনাটি তার বড় চাচীকে জানায়। রবিবার শিশুটির চাচী শিশুটিকে নিয়ে থানায় হাজির হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
ভিকটিমের চাচী জানান, প্রায় ৬বছর পূর্বে মাসুক মিয়ার প্রথম স্ত্রী ৪ কন্যা সন্তান রেখে মারা গেলে তিনি আরো দুটি বিয়ে করেন। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় পরের বিয়েগুলো ভেঙে যায়। নির্যাতিত শিশুসহ তারা তিন বোন মাদ্রাসায় থেকে লেখাপড়া করছে এবং ছোটটি আমার কাছে রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা থেকে ফিরে শিশুটি (নির্যাতিতা) এই ঘটনাটি খুলে বললে আমি স্থানীয় মেম্বারকে অবগত করে পুলিশের কাছে
যাই।
নির্যাতনের শিকার শিশু বলে, আমার বাবা রমজান মাসের আগ থেকে জোর করে আমার সাথে খারাপ কাজ করছেন। ভয়ে কাউকে কিছু বলিনি। শেষ পর্যন্ত ছোটবোনের টানে গত বৃহস্পতিবার বাড়ি এসে রাতে চাচীর ঘরে অবস্থান করে চাচীকে ঘটনাটি খুলে বলি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি নিজেই তদন্ত করে দেখছি। নির্যাতনের শিকার শিশুর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ