সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় রহস্যজনক মৃত্যুর তথ্য উদঘাটনে দাফনের ২৮ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে এক নারীর লাশ উত্তোলন করেছে প্রশাসন। সোমবার সকাল ১০টায় দোহাল গ্রামের পঞ্চায়েতী কবরস্থান থেকে আয়ফুল বেগম (৫০) নামের চার সন্তানের জননীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা তুজ জোহরা।
আয়ফুল বেগম উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের দোহাল গ্রামের মৃত ফজর আলীর স্ত্রী। গত ৩ আগষ্ট দিবাগত রাতে তিনি তার বসতঘরে মারা যান। পরদিন তাকে দাফন করা হয়। পরে ৭ আগষ্ট আয়ফুলকে হত্যার অভিযোগ এনে তার মেয়ে নাসিমা বেগম একই গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে (আয়ফুলের ভাইয়ের মেয়ের জামাই) নুর উদ্দিনকে (৩৫) একমাত্র আসামি করে থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে নুর উদ্দিনসহ তার বড় ভাই মখলিছ আলী (৬৫) ও ইলিয়াস আলীকে (৫৮) আটক করে পুলিশ। পরে ৮ আগষ্ট নিহতের মেয়ে নাসিমা বেগমের অভিযোগটি বিশ্বনাথ থানার হত্যা মামলা (নং- ৮, জিআর-১৬৪/১৯) হিসেবে রুজু করা হয়। তবে এ মামলায় মখলিছ আলী ও ইলিয়াস আলীকেও গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম মূসা বলেন, নিহতের মেয়ের মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল