গত বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টার দিকে সিলেট বন বিভাগের শেখঘাটস্থ রেঞ্জ অফিসে গিয়ে দেখা যায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা চেয়ারে বসে আছেন পায়ের উপর পা তুলে, পরনে প্যান্টের পরিবর্তে লুঙ্গি, পায়ে স্যান্ডেল।
প্রথমে অবাক হলেও পরে নিশ্চিত হলাম তিনিই এই অফিসের প্রধান কর্তা এবং লুঙ্গি পরেই তিনি অফিস করছেন। এবং একই পোশাকে গণমাধ্যমে ইন্টারভিউও দিলেন। দেখে মনে হলে নিয়মিতই তিনি এমন পোশাকে অফিস করেন। পোশাক নিয়ে তেমন একটা মাথাব্যথা নেই তার। অথচ সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট ড্রেস কোড রয়েছে। আর তা মেনেই অফিস করতে হয় তাদের। অর্থাৎ মার্জিত পোশাকেই অফিসে আসতে হয় সবাইকে।
কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম সিলেট বন বিভাগে কর্মরত ফরেস্ট রেঞ্জার দেলোয়ার রহমান। তিনি মার্জিত পোশাক তো দূরে থাক একেবারে বাসার পোশাকেই অফিসে এসে আরাম আয়েসেই দাপ্তরিক কাজকর্মও করেন। এই সম্পর্কে জানতে চাইলে তেমন কোন সদুত্তরও দিতে পারেননি তিনি।
দেলোয়ার রহমান সিলেট বন বিভাগে ফরেস্ট রেঞ্জার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন দীর্ঘদিন থেকে। অনেক দিন এখানে থাকার কারণে নিজের অফিসটাকে অনেকটা বাসস্থানের মতো তৈরি করে ফেলেছেন। বিভিন্ন সময়ে তাকে অন্যত্র বদলি করা হলেও তিনি সেগুলো মানেননি। বরং এগুলো বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তিনি সিলেটেই রয়ে গেছেন। গত এক বছরের মধ্যে দুইবার বদলি হলেও তিনি আছেন সদল বলে। কোথাও একদিনের জন্য যাননি তিনি।
২০১৮ সালের শেষের দিকে একবার তাকে বদলি করা হয় সিলেট থেকে। কিন্তু সেই বদলি আদেশও তিনি অগ্রাহ্য করেছেন অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে। সর্বশেষ গত আগস্ট মাসে তাকে টাঙ্গাইলে বদলি করা হলেও তিনি এখনো সিলেটে রয়েছেন।
এ বিষয়ে সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তার বক্তব্য নেওয়া দেশের বাইরে থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন