সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান যাদের মাথার তাজ ছিলেন তাদের মধ্যে একজন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ।
কামরানের চলে যাওয়াতে আজাদসহ সিলেট আওয়ামী লীগের সকল নেতা শোকে পাথর হয়ে গেছেন। হয়ে গেছেন বাকরুদ্ধ।
আজাদুর রহমান আজাদ তার ফেসবুকে লিখেছেন- ‘বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী কিংবদন্তীতুল্য রাজনৈতিক নেতা ও আমাদের অকৃত্রিম রাজনৈতিক অভিভাবক জনাব বদর উদ্দিন আহমদ কামরান আমার রাজনীতি, পরিবার, পরিপার্শ্বিকতাসহ নানা প্রতিকূলতা ও সমস্যাসংকূল মুহূর্তে তিনিই ছিলেন আমাদের সকল প্রেরণার বাতিঘর। আমাদের সকল দুঃসময়ে উনার কাছেই পেয়েছি আত্মবিশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকার শক্তি-সাহস ও সুক্ষ দিকনির্দেশনা। অনেক মানবিক ও নেতৃত্বের সম্মোহনি গুণের অধিকারী জনাব বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ছিলেন এতদঞ্চলের রাজনীতির এক বিস্তৃত মহীরুহ।'
'আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক গুরু জনাব কামরান ছিলেন সিলেটের সর্বস্থরের রাজনৈতিক মহলে একজন আস্থাভাজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। তাঁর সমস্ত চিন্তা-চেতনা-সংগ্রাম ও স্বপ্ন ছিলো সিলেটের আপামর জনসাধারনের সামগ্রিক কল্যাণ ও এই নগরীর অবকাঠামোগত উন্নয়ন। আশি'র দশক থেকে শত ঘাত-প্রতিঘাত-প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে সংগঠিত করে এই পর্যায়ে নিয়ে আসার পেছনে যে সকল ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব সিলেট আওয়ামীলীগের ইতিহাসে চিরঅক্ষয় হয়ে থাকবেন বদর উদ্দিন আহমদ কামরান নিঃসন্দেহে তাঁদের মাঝে অন্যতম। তাঁর মৃত্যুতে দেশ তথা সিলেট এক বিরল রাজনীতিককে হারালো।'
'মহান আল্লাহর কাছে তাঁর বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করছি। আল্লাহপাক যেনে তাঁর পরিবার-পরিজন আর অসংখ্য গুণগ্রাহী সবাইকে এ শোক সইবার শক্তি দিন। আমিন।’
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম