চারদিকে শোকের মাতম, আহাজারি আর চোখের জল। কামরানের সুগন্ধা ৬৫ বাড়িটি আজ গভীর শোকে স্তব্ধ, রোনাজারিতে ভারি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান সোমবার (১৫ জুন) ভোর ৩টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
এদিকে, বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের মরদেহ বেলা ১২টা ২০ মিনিটের দিকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি কামরানের ছড়ারপারস্থ বাসায় প্রবেশ করে। অ্যাম্বুলেন্সটি প্রবেশের সাথে সাথেই কান্নায় ভেঙে পড়েন দলীয় নেতাকর্মী ও প্রতিবেশীরা। মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই কামরানের বাসভবনে সিলেটের সর্বস্তরের মানুষ এসে ভিড় জমাতে থাকেন। তাঁকে শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য ছুটে আসেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন স্তরের প্রশাসনের লোকজন ও সাংবাদিকসহ সকল স্তরের মানুষ।
জানা গেছে, বাসায় ধর্মীয় রীতি সম্পন্ন করে মরদেহ নেয়া হয় ছড়ারপার জামে মসজিদে। সেখানে তাঁর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর মানিকপীরের টিলায়। সেখানে আরেক দফা জানাজা শেষে মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয় তাকে।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় সাবেক এ মেয়রের করোনা পজিটিভ আসে। এদিন থেকে বাসায় চিকিৎসা দেওয়া হলেও পরদিন ৬ জুন সকালে বমি আর জ্বর নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে বমি ও জ্বর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হচ্ছিল না। পরে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় গত ৭ জুন রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয় তাঁকে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম