করোনা পরিস্থিতিতে নগরবাসীকে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি পশু জবাইয়ের আহ্বান জানিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। ইতোমধ্যে নগরের ২৭টি ওয়ার্ডের ৩০টি স্থানে পশু কোরবানির জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। যত্রতত্র পশু কোরবানি না করে সিসিকের নির্ধারিত স্থান সমূহে ইদের দিন পশু কোরবানি করার আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, সিসিকের ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত স্থানসমূহে পশু কোরবানি জন্য উপযোগী পরিবেশ থাকবে। স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে নগরবাসী যাতে পশু কোরবানি করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হবে। কোরবানির স্থানগুলোতে প্যান্ডেল তৈরী করে দেয়া হবে। সেই সাথে থাকবে পানির ব্যবস্থা, বালতি, মগ, ত্রিপল, চাটাইসহ থাকবে বর্জ্য অপসারণের সুবিধা।
মেয়র জানান, নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির পর পরই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সিসিকের পরিচ্ছন্নতা শাখার কর্মীরা দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপাশি পশু কোরবানির এসব স্থানে সিসিকের একাধিক মনিটরিং টিম কাজ করবে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের কোরবানির নির্ধারিত স্থানগুলো হলো- ১ নম্বর ওয়ার্ডের মীরের ময়দান এলাকার অর্ণব ৩০ নম্বার বাসার সামনের খোলা জায়গা, ২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাতন মেডিকেল কলোনী, ৩, ১২, ১৭, ১৯, ২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের অফিস সংলগ্ন মাঠ, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বাসা সংলগ্ন খোলা জায়গা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় মাঠে কোরবানির পশু জবাইয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
৫, ৬, ৭, ৮, ১১ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে পশু কোরবানির স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় সংলগ্ন মাঠ। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য নির্ধারিত স্থান- আম্বরখানা কলোনী মাঠ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোরবানিদাতারা পশু কোরবানী দিবেন এতিম স্কুল রোডের জবাইখানায়, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঘাসিটুলা কলাপাড়া ওয়ার্কশপের মাঠ ও নবাব রোড পিডিবি কোয়ার্টার, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীরবাজার মাদ্রাসার মাঠে হবে কোরবানী।
১৫ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজালাল জামেয়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সওদাগরটুলা মাঠ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসার সামনের মাঠ, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ হাতিম আলী (রহ.) উচ্চবিদ্যালয় মাঠ, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ হাতিম (রহ.) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কোরবানীর জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে উপশহরের এ ব্লকের ২৭ নম্বর রোডের মাঠ ও ই ব্লকের খেলার মাঠ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন