জাফলং বল্লাঘাটে প্রতিদিন বোমা মেশিন ও কয়েকশো বারকী নৌকা দিয়ে পাথর উত্তোলনের ফলে ঐতিহ্যবাহী বল্লাঘাট নদী সংলগ্ন জামে মসজিদ ও পার্শ্ববর্তী আদিবাসী সম্প্রদায়ের বসতভিটা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বহুতল বাণিজ্যিক ভবন অনেকটা হুমকির মুখে পড়েছে।
পাথর উত্তোলন কাজ অব্যাহত রাখায় হুমকির মুখে পড়েছে বল্লাঘাট নদী সংলগ্ন জামে মসজিদ, বসতভিটা, স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বহুতল বাণিজ্যিক ভবন। এখানে জেলা পরিষদের পর্যটন কেন্দ্র থাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার ছোট বড় ও শিশু-কিশোর পর্যটকগন বল্লাঘাট হয়ে মসজিদের নীচ দিয়ে নদী ভ্রমন করতে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট যায়।
সম্প্রতি সময়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় জাফলং লাখেরপাড় গ্রামের মৃত নুর মিয়ার পুত্র নজরুল ইসলাম ও আবির হোসেনের নেতৃত্বে একটি সুবিধা ভোগী মহল অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করে মসজিদের নীচের রাস্তায় বালু-পাথর মজুদ করায় এই রাস্তায় দিয়ে জনসাধারণকে যাতায়াতে নানা দূভোর্গ ও প্রতিবন্ধকতা পোহাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম ও আবির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা কোন বক্তব্য দেননি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. জালাল উদ্দিন জানান, 'সরকারী ইসিভূক্ত এলাকা থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে। প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করলে সাময়িক ভাবে কিছু সময় কাজ বন্ধ রাখা হয়, আবার পুনরায় রাতের অন্ধকারে বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন কাজ চলতে থাকে।'
এই অবস্থা চলতে থাকলে বল্লাঘাট জামে মসজিদ, পার্শ্ববর্তী অনেকের ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। জাফলং এলাকার পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে ইসিভূক্ত নদী এলাকা থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে প্রশাসনসহ স্থানীয় সচেতন সকল মহলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নিবার্হী অফিসার তাহমিলুর রহমান বলেন, 'সরকারী ইসিভূক্ত কোয়ারী এলাকা থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করে আসছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা অভিযোগ পেয়েছি রাতের বেলায় বোমা মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করা হয়। সরকারী ইসিভূক্ত কোয়ারী এলাকা থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির