মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের গারো সম্প্রদায়ের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়াএক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে মেয়েটি সদর হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের ফুলছড়া গারো পল্লীতে।
ঘটনার পরপরই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশকে এ বিষয়টি জানায় মেয়েটির পরিবার।
আজ সোমবার সদর হাসপাতালে এ প্রতিবেদকে মেয়েটি জানায়, সে গিয়াসনগর সেন্ট মেরিস ব্রাদার স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুল বন্ধ থাকায় সে বাড়িতে থাকতো। বাড়ির প্রয়োজেনে বাসার পার্শ্বে দোকানে আসা যাওয়ার পথে পার্শবর্তী লেবু বাগানের মালিক ফারুকের সাথে তার পরিচয় হয়। ফারুক তাকে একটি মোবাইল কিনে দেয়। এই মোবাইলে তাদের কথা হতো। ঘটনার দিন রাত ২ টার দিকে ফারুক ফোন করে তার মোবাইলটি ফেরত চেয়ে তাকে ঘরের বাইরে বের করে। এসময় রাস্তার পার্শ্বে অন্ধকারে তাকে ধর্ষণ করে। পরে পল্লীর লোকজন ফারুককে ঘেরাও করলে সে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ফেলে পালিয়ে যায়। পরের দিন থানার এএসআই সারোয়ার তাদের বাড়ি গেলে সে এ ঘটনাটি জানায়। পরিবার থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকেও বিষয়টি জানানো হয়। গত রবিবার মেয়েটিকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এএসআই সারোয়ার হোসেন জানান, ‘তিনি পরের দিন মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। মেয়েটি তাকে মৌখিক ভাবে ঘটনাটি জানিয়েছে। তবে লিখিত কোন অভিযোগ দেয়নি।’
ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মুজুল বলেন, ‘মেয়ের বাবা আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছে। আমি সমাধানের চেষ্টা করছি।’
এএসপি শহদিুল হক মুন্সী বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার নলেজে এসেছে। তবে ভিকটিমের পরিবার থেকে আমাদের নিকট আইনি সাহায্য চাওয়া হয়নি। ওরা চাইলে আমরা সর্বাত্মক সহায়তা দেব।’
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন