সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চণ্ডিপুর বারাম হাওর উপ প্রকল্প নোয়াখালের পূর্বপাশে নদীর তীর উপচে বারাম হাওরে পানি ঢুকছে।
বুধবার দিবাগত রাত থেকে কালনী নদীর তীর উপচে হাওরে পানি ঢুকতে থাকে বলে জানায় স্থানীয়রা।
এদিকে, হাওরে পানি ডুকার খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও পাউবোর সহযোগিতায় তাৎক্ষণিক এক্সাভেটর মেশিন দিয়ে পানি ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার শুরুতে পানি কম ঢুকলেও সময় যত যাচ্ছে ধীরে ধীরে নদীর পানিও বাড়ছে, পানি ঢোকার গতিও বাড়ছে। যে জায়গা দিয়ে পানি ডুকছে, সে জায়গা প্রশস্ত ও গভীরতাও বাড়ছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাওরে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। অনেকের ধানকাটা শেষ পর্যায়ে যার ফলে বাঁধ আটকাতে এগিয়ে আসছেন না কেউ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নাহিদ জানান, চণ্ডিপুরের দিকে ওভারফ্লো হয়ে ভরাম হাওরে পানি ঢুকলেও পাউবো এক্সাভেটর মেশিন দিয়ে মাটি ফেলে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ নিয়ে কৃষকের মধ্যে কোনো আতংক নেই। কৃষক ধানকাটায় ব্যস্ত রয়েছেন।
দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুর রহমান জানান, জেলার বড় হাওর বারাম। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই হাওরে পানি ঢুকছে। হাওরপাড়ের চন্ডিপুর-খেজাউড়ার মাঝামাঝি অংশ দিয়ে কালনী নদীর পাড় উপচে পানি প্রবেশ শুরু হয়। এ হাওরে প্রায় চার হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদ হয়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত