গৃহহীন ও ভাসমান অবস্থায় কেটেছে বছরের পর বছর। দিনমজুরি করে কাটছিল আবদুর রউফ (৩৫) এর জীবন। বসবাস করতে হয়েছে অন্যের বাড়ির অস্থায়ী ঘরে। জীবনে জমিসহ পাকা ঘর হবে- এমন আশা ছিল না কখনও। আজ তাদের ঠাঁই হয়েছে স্বপ্নের পাকা ঘরে। নিজের একটা বাড়ি হয়েছে। সেই বাড়িতে এবার প্রথম ঈদ করলেন অবদুুর রউফ।
মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের নতুন ঘরে ঈদ করেছেন বলে উচ্ছ্বসিত তিনি ও তার পরিবার। খুুশি তার প্রতিবেশী মশরফ আলী পরিবারও। ঈদের দিন বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বাউসী মৌজায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া অশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, ওখানে ঘর পাওয়া লোকজনের মধ্যে দুুটি পরিবার মুসলিম। বাকিরা সনাতন ধর্মাবলম্বী। কিন্তু ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে সবার মাঝে। খোশগল্পে মেতেছেন সকলেই। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করছেন একে অন্যের সাথে। নতুন পোশাকে শিশুরাও ছিল খুশিতে অত্মহারা।
এসময় কথা হয় আবদুর রউফের সাথে। স্ত্রী ও ৩ সন্তান নিয়ে গেল ভাদ্র মাস থেকে উপহারের ঘরে বসবাস করছেন তিনি। তিনি জানান, গেল ভাদ্র মাসে আমি প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর পেয়েছি। আগে আমার ঘর ছিল না। এবার নিজ ঘরে ঈদ করতে পেরে আমি খুশি। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ। কথা হয় তার প্রতিবেশী মশরফ আলীর সাথে। ৬ মেয়ে নিয়ে তিনিও একই সময় থেকে উপহারের ঘরে থাকছেন। তিনি ও তার বড় মেয়ে জানান, জীবনে কঠিন সংগ্রাম করে বেঁচে ছিলেন তারা। আজ ওখানে তো কাল ওখানে এভাবেই কাটছিল জীবন। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া পাকা ঘর পেয়ে জীবনে স্বস্তি ফিরেছে তাদের। আজকে নিজের ঘরে ঈদ করতে পেরে খুশিতে আত্মহারা তারা।
আশ্রয়ণের বাসিন্দা তাদের প্রতিবেশী রনি মালাকার জানান, আমরা মিলেমিশে একই পরিবারের ন্যায় বসবাস করছি। ভালোই কাঠছে দিন। আমাদের কাছে এখন প্রতিটি দিনই ঈদের দিনের মতো। এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবেনা- প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মুখে হাসি ফোটাতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশের ন্যায় এখানেও ঘর পেয়েছেন অনেকে। প্রথমবারের মতো তারা নিজেদের পাকা ঘরে ঈদ করেছেন, এটি তাদের জন্যে অবশ্যই অনেক আনন্দের। এই অসহায় পরিবারগুলোর কাছে এটি বেঁচে থাকার নতুন অবলম্বন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক