গত দুই বছর করোনাভাইরাসের কারণে ঈদসহ বিভিন্ন সময়ে পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে যেতে ছিল নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু এবার তা নেই। তাই এবার সিলেটে পর্যটকরা যেন বাঁধনহারা।
ঈদের আগেই সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছিলেন-পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় থাকবে। ঈদ পরবর্তী চার দিন (বুধ থেকে শনিবার পর্যন্ত) স্থানীয় পর্যটকসহ প্রতিদিন গড়ে দুই লাখ পর্যটক পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় উপস্থিত থাকবেন। সে অনুযায়ী চার দিনে গড়ে আট লাখ পর্যটক উপস্থিত থাকবেন। এতে সিলেটের পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের প্রায় ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে।
সে ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিতে আজ বুধবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটক সিলেটের জাফলং, সাদাপাথর, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, পান্তুমাইসহ বিভিন্ন চা-বাগান দেখতে ছুটে এসেছেন। এ ছাড়া হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরান (রহ.) মাজারেও ভিড় জমেছে পর্যটকদের।
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য-এই অবস্থা থাকবে আগামী শনিবার পর্যন্ত। এতে এই কয়দিনে পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় আট লাখ পর্যটকদের উপস্থিতিতে ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা যায়, ঈদের আগ থেকেই পর্যটকেরা হোটেল বুকিং শুরু করেন। ঈদের আগে আগেই সিলেটের হোটেল-মোটেলগুলোর ৭৫ শতাংশ অগ্রিম বুকিং হয়ে যায়। যারা হোটেল বুকিং দিয়েছিলেন, তারা ঈদ-পরবর্তী দুই থেকে চার দিন পর্যন্ত বুকিং দিয়ে রেখেছেন।
এদিকে, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলা পুলিশ ঈদের আগেই সিলেটের ১০টি পর্যটনকেন্দ্র ও জনসমাগমস্থল চিহ্নিত করেছে। এসব কেন্দ্রে ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া সাদাপোশাকেও নিযুক্ত রয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
সিলেট জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা ও গণমাধ্যম) মো. লুৎফর রহমান বলেন, ঈদে পর্যটকদের হয়রানি কমাতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জনসমাগমস্থল চিহ্নিত করে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও পর্যটনকেন্দ্রের ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলো চিহ্নিত করে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থার পাশাপাশি পর্যটকদের সতর্ক করতে লাল নিশানা কিংবা নির্দেশনামূলক বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন