সিলেটে একই দিনে পৃথক ঘটনায় দুই স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন-প্রান্ত দেবনাথ (১৭) ও আহমদ আল আবী (১৩)। রবিবার (১২ জুন) দিনগত রাতে বসত ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত প্রান্ত সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ও স্থানীয় গয়নাঘাট এলাকার প্রদীপ দেবের ছেলে। অন্যদিকে, আবী সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর শহরের শ্রীধরা গ্রামের নোমান আহমদের ছেলে ও খলিল চৌধুরী আদর্শ বিদ্যানিকেতনের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
প্রান্তর স্বজনদের বরাত দিয়ে ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাঈন উদ্দিন বলেন, বাড়ির রান্নাঘরের চালের তীরের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় প্রান্তর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠনো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অন্যদিকে, সিলেটের বিয়ানীবাজারে গেম খেলাতে আসক্ত আহমদ আল আবী নামে এক স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রবিবার (১২ জুন) দিনগত রাত ১১টার দিকে পৌর এলাকার শ্রীধরা গ্রামে নিজ বাড়ির বসত ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতেতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, এদিন সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। ঘরে কেবল আবী একা ছিল। বাড়ি ফিরে তাকে ডাকাডাকি করে সাড়াশব্দ না পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে।
সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, শিশুটি গেম খেলাতে আসক্তি ছিল। ঝুলন্ত অবস্থায় পরণে তার বড় বোনের পায়জামা, কামিজ ও ওড়না ছিল। ওড়না দিয়ে মুখ ঢাকা ছিল। মরদেহের পাশ থেকে একটি ট্যাব ও ৩০২ লেখা কাগজ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ