সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকাধীন বড়শালার নয়াবাজার এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন। শনিবার সকালে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। তবে উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, পূর্বনোটিশ অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। এই জায়গা মালিক বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন। এদিকে সময় চাওয়ার পরও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রায় দুই বছর পর থেকে বড়শালা নয়াবাজার চালু রয়েছে। বাজারে শত শত দোকান রয়েছে। বাজারের কাঁচাবাজারের যে অংশ, সেটি সদর উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রতি বছর লিজ দেওয়া হয়। এর বাইরে বাজারের বাকি অংশের মালিকানা প্রতিরক্ষা বিভাগের। ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে ইজারা নিয়ে বাজার পরিচালনা করতেন।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি বাজারের ওই জায়গার নিয়ন্ত্রণভার প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে পায় সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। এরপর এই জায়গা ওসমানী বিমানবন্দরের আওতায় নিতে বাজারে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। বিষয়টি বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিকে জানানো হয়। ব্যবসায়ীরা নিজেদের মালামাল সরিয়ে নিতে এবং বকেয়া টাকা তোলার সুযোগ পেতে কিছুটা সময় চেয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার বাজারে তারা সমাবেশও করেন।
এ ব্যাপারে বড়শালা নয়াবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি আব্দুল মজিদ মুন্না বলেন, ‘বাজারের কাঁচাবাজার অংশ উপজেলা প্রশাসন থেকে লিজে নেওয়া। লিজের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর অবধি। বাজারের বাকি অংশ (১৪৮৭নং দাগ) প্রতিরক্ষা বিভাগের। আমরা চট্টগ্রামে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে ইজারা আনি। এখন আমরা শুনেছি, প্রতিরক্ষা বিভাগ জায়গা সিভিল এভিয়েশনকে দিয়েছে। সিভিল এভিয়েশন জায়গা ওসমানী বিমানবন্দরের আওতায় নিতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। প্রায় তিনশ দোকান ছিল বাজারে, সব উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হলো এর মাধ্যমে। আমরা সময় চেয়েছিলাম, তা পাইনি।’
বড়শালা নয়াবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান পংখি বলেন, ‘প্রতিরক্ষা বিভাগের জায়গা সিভিল এভিয়েশনকে দিয়েছে। তারা উচ্ছেদ করেছে আমাদের। আমরা ব্যবসায়ীরা এখন সর্বস্বান্ত। কারো কাছ থেকে আমরা কোনো আশ্বাস পাইনি, সান্ত্বনাও পাইনি।’
ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বলেন, ‘প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে সিভিল এভিয়েশন ওই জায়গা পেয়েছে। নিজেদের সম্পত্তি রক্ষায় বাজারে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। এই জায়গা এখন ওসমানী বিমানবন্দরের আওতায়। ওই জায়গায় সীমানাপ্রাচীর নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে।’
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর