সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, সাবেক সচিব, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান, সিলেটের কৃতি সন্তান ইমাম উদ্দীন আহমদ চৌধুরী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ৩টায় সিলেট নগরীর হাউজিং এস্টেটস্থ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।
আগামী শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বাদ জুমা দরগাহ-ই-হজরত শাহজালাল (রহ.) মসজিদে জানাজা শেষে তাকে দাফন সম্পন্ন হবে।
মৃত্যুকালে তিনি এক পুত্র, এক কন্যা, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ইমাম ইমাম উদ্দীন আহমদ চৌধুরী বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজিপি ই এ চৌধুরী, বাংলাদেশের বীমা ব্যক্তিত্ব নাসির এ চৌধুরী এবং সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফি এ চৌধুরীর সহোদর। তার একমাত্র পুত্র ডা. নিয়াজ আহমদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক বিশিষ্ট ভাসকুলার সার্জন।
ইমাম উদ্দীন আহমদ চৌধুরী ১৯২৬ সালের ১০ ডিসেম্বর সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রেঙ্গা পরগনার দাউদপুর গ্রামে খ্যাতনামা এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম খানবাহাদুর গৌছ উদ্দীন আহমদ চৌধুরী আসাম লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। ইমাম উদ্দিন আহমদ চৌধুরী ১৯৯১-এর ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ লাভ করেন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথম ব্যাচের ছাত্র হিসেবে ১৯৫১ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রথম শ্রেণিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা পাশ করেন। শিক্ষাশেষে তিনি ১৯৫১ সালে পূর্ব বঙ্গ সরকারের কমিউনিকেশন এন্ড বিল্ডিং বিভাগে এসিসট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগ লাভ করেন।
পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে তিনি পরিকল্পনা বিভাগের সচিবের দায়িত্ব পান। ১৯৮২ সালে পরিকল্পনা বিভাগের দায়িত্ব ছাড়াও পরিকল্পনা কমিশনে সদস্যের দায়িত্বও পান। কয়েক মাস রেলওয়ে বিভাগের সচিবের দায়িত্ব পালনের পর অক্টোবর ১৯৮৫ সালে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নিযুক্ত হন এবং এ পদ থেকে ১৯৮৭ সালের ৬ জানুয়ারি অবসর গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি অগ্রণী ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত
