বাংলাদেশী সেজে পরিচয় গোপন রেখে চট্টগ্রামে পাসপোর্ট করতে এসে আবারও শফিউল হাই (২৪) নামের এক রোহিঙ্গা তরুণ আটক হয়েছে। আটক শফিউল পাসপোর্টের আবেদনে বাবার নাম বজলুর রহমান ও মায়ের নাম মাহমুদা খাতুন লিখেছেন। ঠিকানা লিখেছেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার আবদুল্লাপুর। এতে সেই রোহিঙ্গা পাসপোর্ট আবেদনের সাথে শফিউল জাতীয় পরিচয়পত্র ও জাতীয়তা সনদও জমা দিয়েছেন।
বৃস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর মনছুরাবাদে বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস থেকে আটকের পর ডবলমুরিং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক আবু সাইদ।
তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সকাল ১১টার দিকে পাসপোর্ট অফিসে গেলে উক্ত ব্যক্তিকে নিয়ে সন্দেহ হয়। এক নাম্বার কাউন্টারে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। এরপর আমার কক্ষে নিয়ে সে নিজেকে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে। তাদের মূল বাড়ি মিয়ানমারের বালিবাজারে। ২০১৪ সালে স্বপরিবারে তারা কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। কয়েক বছর আগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে স্বপরিবারে চলে আসেন বলে জানান শফিউল। তবে এর আগে আরো দুইজন রোহিঙ্গা তরুণ-তরুণীকে আটক করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার