১৬ অক্টোবর, ২০১৯ ১৯:১৯

সঙ্কটের মধ্যেও সেবা দিচ্ছেন চমেক চিকিৎসক-নার্সরা: চসিক মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

সঙ্কটের মধ্যেও সেবা দিচ্ছেন চমেক চিকিৎসক-নার্সরা: চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালটি এক হাজার ৩৪৮ শয্যার। কিন্তু এখানে প্রতিদিন অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিভাগ মিলে প্রায় ছয় হাজার রোগীকে সেবা দিতে হয়। এটা স্বাভাবিক বিষয় নয়। শয্যা, জনবল ও চিকিৎসা উপকরণসহ নানা সঙ্কট সত্ত্বেও এ হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে তাদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত।

বুধবার দুপুরে চমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে করোনারি কেয়ার ইউনিট-২ (সিসিইউ) উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

চমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগ ও রোগী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন উদ্দিন আহমেদ। 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চমেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. প্রবীর কুমার দাশ, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. বাসনা মুহুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, রোগী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি ডা. তৈয়ব সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক চমেক হাসপাতাল সমাজসেবা কর্মকর্তা অভিজিৎ সাহা, তাহের ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল বশর, পরিচালক মুনতাসির মামুন প্রমুখ। 

অনুষ্ঠান শেষে মেয়র রোগী কল্যাণ সমিতির ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন এবং সিসিইউতে আরেকটি শয্যা অনুদানের ঘোষণা দেন।  

অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র বলেন, ‘তাহের ব্রাদার্স ১৫টি সিসিইউ শয্যা দিয়েছে। এটি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি আন্তরিক ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে। আমি মনে করি, এ রোগী কল্যাণ সমিতির কার্যক্রম অনেক গতিশীল। তারা হতদরিদ্র থেকে মধ্যবিত্ত রোগীদের কল্যাণে কাজ করছে। উনারা তৎপর না থাকলে গরিবদের সেবা দেওয়া সম্ভব হতো না। আমি এ শহরের আদিবাসী। এখন ৬৩ বছরে পদার্পণ করেছি। আগে রোগী কল্যাণ সমিতি কেবল নামেই ছিল, এখন কাজে দেখা যাচ্ছে।’  

তিনি আরও বলেন, ‘ধারণার ওপর নির্ভর করে সংবাদ পরিবেশন করা উচিত না। এতে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। চিকিৎসকের ওপরও চাপ তৈরি হয়। তাই  শতভাগ নিশ্চিত হয়ে কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা উচিত। ঢালাওভাবে সবার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা উচিত না।’

ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘সিসিইউতে ১৫টি শয্যা যোগ হয়েছে, এটা বিশাল কাজ। চমেকে হার্টের ব্যথা নিয়ে অসংখ্য রোগী আসেন। ঢাকায় আলাদা ইনস্টিটিউট আছে। অথচ বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৪ কোটি মানুষের হৃদরোগীর জন্য ভরসা এ ওয়ার্ড। প্রাইভেট সিসিইউ-আইসিইউগুলো মাত্রাতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে রোগীদের কাছ থেকে। এ ব্যাপারে সিটি মেয়র ও ক্লিনিক মালিক সমিতি উদ্যোগ নিলে এটা সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব।’


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর