২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৯:০১

চট্টগ্রাম বইমেলা, বিকিকিনির সঙ্গে বেদনার সুর

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বইমেলা, বিকিকিনির সঙ্গে বেদনার সুর

শুক্রবার ছুটির দিন। পড়ন্ত বিকালের রোদটাও মিষ্টি। রোদ-ছায়ার প্রাকৃতিক পরিবেশ যারপরনাই নির্মল। নাগরিক যন্ত্রণাও তুলনামূলক কম। সামগ্রিক পরিবেশই পাঠক-দর্শকবান্ধব। সব শ্রেণী পেশার, তরুণ-তরুণী ও শিশু- কিশোরের সরব উপস্থিতি তৈরি করেছে নান্দনিক পরিবেশ। বইপ্রেমী পাঠকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে পুরো আঙিনা। কিন্তু তবুও যেন সবার চোখে মুখে বিষাদের কালো ছায়া। বিদায়ের বেদনার সুর ভর করেছে। তবে বিদায় বেলার যাতনাকে জয় করেই চলছে বই বিকিকিনির উৎসব। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ১৮ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে বলে জানা যায়।

জানা যায়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও সৃৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সহযোগিতায় চট্টগ্রামে বই মেলা শুরু হয় ১০ ফেব্রুয়ারি। শনিবার বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে বইমেলার। নগরীর এম এ  আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত মেলায় চট্টগ্রামের ৩৮টি প্রকাশনা সংস্থার প্রায় ৬০০টি বই বের হয়েছে। এবারের মেলায় স্টল ছিল ২০০টি। এর মধ্যে ডবল ৫৯টি এবং সিঙ্গেল ৮৭টি।    

শুক্রবার বইমেলায় ভিড় ছিল সব শ্রেণি পেশার মানুষের। বিশেষ করে শিশু কিশোর এবং তরুণদের সমাগম ছিল লক্ষণীয়। চিকিৎসক হামিদ হোছাইন  আজাদ বলেন, ‘বইমেলা যে প্রাণের মেলা সেটা খুব বেশি অনুভব করি বিদায় বেলায়। কারণ এতদিন মেলায় এসেছি, বই কিনেছি, পুরাতন অনেক বন্ধুর সঙ্গে কাকতালীয় দেখাও হয়েছে। সবমিলে নান্দনিক এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু এটি শেষ হয়ে যাবে ভাবতেও মন খারাপ হয়ে যায়।’ প্রচ্ছদ শিল্পী শাদ ইরশাদ বলেন, ‘বইমেলা আমাদের অনেক কিছু শেখায়। নতুন অনেক উপলব্দি, চিন্তা-চেতনা তৈরিতে সহায়তা করে। বলা যায়, বইমেলাই বাঙালির প্রাণের এবং প্রকৃত মেলা। তাই এটিকে বিদায় জানাতে কষ্ট হয় বৈকি।’ এসএসসি পরিক্ষার্থী সাজিদ মুহাম্মদ বলেন, ‘বইমেলায় একাধিকবার এসেছি, বইও কিনেছি। কিন্তু বইমেলা শেষ হয়ে যাচ্ছে, এটা চিন্তা করতে কষ্ট হয়। কারণ বই মেলা সত্যিকার অর্থের মননশীল এবং নান্দনিক একটি জায়গা।’

চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া বলেন, ‘বইমেলাকে আমরা সত্যিকার অর্থে লেখক, পাঠক, দর্শক এবং সৃজনশীল মানুষের মেলায় পরিণত করতে সক্ষম হয়েছি। পাঠকরাও ব্যাপক সাড়া দিয়েছে।’

সৃৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘গতবারের মত এবারো আশানুরূপ বই বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি, পাঠকদের চাহিদা মত বই মেলায় ছিল। তাই পাঠকরাও নিজের পছন্দের বই ক্রয় করেছে।’

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর