দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গত ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সেই চসিক নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলাসহ কাউন্সিলর পদে মোট ২’শ ১৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন এবং পুরুষ কাউন্সিলর পদে ১’শ ৬১ জন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচনী মাঠে ভোটের প্রচার-প্রচারণায় প্রত্যেকেই ভোটারদের মাঝে ঘরে ঘরে নানা কৌশলে প্রচারণা চালিয়েছেন। নির্বাচন স্থগিত হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত মাঠেই ছিলেন প্রার্থীরা।
কিন্তু বিশ্বের সেই মহামারি করোনাভাইরাসটি দেশেও আক্রমণ করেছে। এতে সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে লকডাউনের পাশাপাশি প্রশাসনিক ভাবেই ঘরেই থাকার জন্য জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। এখানে প্রতিটি ওয়ার্ডের সাধারণ গরিব-দিনমজুর এবং অভাবী মানুষের পাশে নেই চসিকের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সেই ২’শ ১৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থী।
নামেমাত্র কিছু বর্তমান কাউন্সিলর প্রার্থী সেই ধারাবাহিকতায় সাধারণ মানুষের পাশে দৃশ্যমান দেখা গেলেও বর্তমান কাউন্সিলরসহ প্রায় ৮০ শতাংশ কাউন্সিলর প্রার্থীদের দেখা মেলে না বললেন একাধিক ভোটার। সাধারণ মানুষদের রক্ষার জন্য সরকারের টানা ছুটির কারণে অনেকেই অভাবের সংসারে রীতিমতো কষ্টের মধ্যেও রয়েছেন।
স্থানীয় নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, চসিকের ২’শ ১৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই মাঠেই নেই। করোনার ভয়ে এসব প্রার্থীরাও পালিয়ে গেছেন। আছেন শুধুই কিছু বর্তমান কাউন্সিলর।
বর্তমান মেয়র আজম নাছির উদ্দিন করোনাভাইরাস প্রতিরোধসহ নানাবিধ কর্মকাণ্ডে নিয়মিত মাঠেই রয়েছেন। কিভাবে জনসচেতনতায় কাজ করা যায়, সেই বিষয়েও স্ব-স্ব ওয়ার্ডে নির্দেশনা দিয়েছেন। নিজেও প্রতিটি এলকায় মাইকিং করেছেন। দফায় দফায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার