৬ এপ্রিল, ২০২০ ১৮:৫০

চট্টগ্রামে বিপাকে চার হাজার দুগ্ধ খামারি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামে বিপাকে চার হাজার দুগ্ধ খামারি

চট্টগ্রামে নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত ছোট-বড় মিলে দুগ্ধ খামারি আছে প্রায় চার হাজার। এসব দুগ্ধ খামারির প্রধান গ্রাহক মিল্কভিটা লিমিটেড ও বড় প্রতিষ্ঠান। সঙ্গে আছে স্থানীয় বেকারি, রেস্টুরেন্ট, মিষ্টির দোকান এবং সাধারণ বাসিন্দারা। 

কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ার মিল্ক ভিটা দুধ সংগ্রহ করছে নামমাত্র। তাছাড়া করোনাভাইরাস প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর স্থানীয় বেকারি, রেস্টুরেন্ট, মিষ্টির দোকানও দুধ সংগ্রহ বন্ধ করে দেয়। এর সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রুতই বৃদ্ধি পেয়েছে গো-খাদ্যের দাম। ফলে চরম আকারে বিপাকে পড়েছেন চট্টগ্রামের দুদ্ধ খামারি শিল্প। আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন খামারিগুলো।         

এ নিয়ে গত ২৫ মার্চ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে সাত দফা দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি দেয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশন। স্মারকলিপিতে দুগ্ধ শিল্প বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রণোদনা দাবি করা হয়।    

চিটাগাং ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নঈম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এখন বহুমাত্রিক বিপদে আছি। প্রধান প্রধান গ্রাহকরা এখন দুধ সংগ্রহ করছে না। অথচ মিল্ক ভিটাসহ বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছা করলেই এখন আমাদের থেকে দুধ সংগ্রহ করে পাউডারসহ অন্যান্য প্রক্রিয়ায় বাজারজাত  করতে পারত। কিন্তু তারা এখন তা করছ না। এমন অবস্থা চললে একমাসও টিকে থাকা কঠিন হবে।’     

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘চট্টগ্রামের প্রায় চার হাজার ডেইরি ফার্মার এখন চরম বিপাকে আছেন। প্রথম দিকে মিল্কভিটা দুধ সংগ্রহ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়। পরে আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে দৈনিক দেড় হাজার লিটার সংগ্রহ করছে। ফলে ফার্মাররা এখন চরম দুশ্চিন্তায় আছে। এ ব্যাপারে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি স্মারকলিপি দিয়েছি।’

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর