চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ার পর নগর ও উপজেলায় সাতটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। বুধবার বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন এসব বাড়ি লকডাউন করে। তাছাড়া পাঁচজন চিকিৎসককে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওই চিকিৎসক গত ৮ এপ্রিল হাসপাতালের দায়িত্ব পালন করেন। এর পর থেকেই তিনি চট্টগ্রাম নগরীর কাতালগঞ্জের বাসায় ছিলেন। এরপর আর বাঁশখালী হাসপাতালে আর যাননি। গত মঙ্গলবার রাতে ওই চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়ে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এর পর ঘটনাটি জানাজানি হলে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাঁচজন চিকিৎসককে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার গ্রামের বাড়ি বাঁশখালীর বৈলছড়িতে চারটি বাড়ি এবং গত ৮ এপ্রিল চিকিৎসা করা তার দুই রোগীর বাড়িসহ মোট ৬টি বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে লকডাউন করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে নগরের কাতালগঞ্জের ১০ তলা বিশিষ্ট দালানটি লকডাউন করে দেওয়া হয়।
বাঁশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে আক্রান্ত চিকিৎসক সম্ভাব্য যেখানে যেখানে গিয়েছেন সব জায়গায় লকডাউন করা হয়েছে।’
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. শফিকুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘বাঁশখালী হাসপাতালের আক্রান্ত চিকিৎসক কর্মরত অবস্থায় যে সকল চিকিৎসক তার সংস্পর্শে ছিলেন এমন পাঁচজন চিকিৎসককে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/রেজা মুজাম্মেল