চট্টগ্রাম শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বজনদের কাছ থেকে বিদায়, বোর্ডিং পাস ও চেকিং সম্পন্ন হওয়ার পর ইমিগ্রেশনের সময় জানানো হলো তারা শারজাহ যেতে পারছেন না। ‘ওভার বুকিং’য়ের কবলে পড়ে বিমানের সাত যাত্রী আর শারজাহ যেতে পারেননি।
সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। আরব আমিরাতের এয়ার এরাবিয়ার কর্মকর্তাদের ভুলে বিমানের সাত যাত্রীকে ফেরত আসতে হয়। এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েন নারী শিশুসহ ভিসার মেয়াদউত্তীর্ণের শঙ্কায় থাকা পাঁচ যাত্রী।
বিমানের যাত্রী হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা আবদুল মান্নান বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় ছিল আমাদের ফ্লাইট। যথারীতি বোর্ডিং পাস নিয়ে চেকিং শেষ করে ইমিগ্রেশনে যাই। তখনই এয়ার এরাবিয়ার লোকজন জানালো ওভার বুকিং হওয়ায় সাতজন পরের ফ্লাইটে যেতে হবে। আগামী ৯, ১২, ১৪, ১৬ অক্টোবর পরের ফ্লাইট আছে এয়ার এরাবিয়ার। ফ্লাইট মিস হওয়ায় এখন আমাদের আবারও কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে হবে। এটা আরেকটি বিড়ম্বনা।’
শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জামান বলেন, ‘কোভিড-১৯ নীতিমালা অনুযায়ী এয়ার এরাবিয়ার ওই ফ্লাইটে যেতে পারবেন ১৪০ জন যাত্রী। কিন্তু তারা ভুলে ১৪৭ জনের বোর্ডিং পাস ইস্যু করেছে। বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পরই সাতজনকে পরের ফ্লাইটে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন