চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প নিয়ে বৈঠক করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ। আজ রবিবার দুপুরে চসিকের মেয়র কার্যালয়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে চসিক মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএ দুই প্রতিষ্ঠানের কাজের সমন্বয় অতিজরুরি। চট্টগ্রাম নগরীতে দালিলিকভাবে ৫৭টি খাল ছিল। সিডিএর উদ্যোগে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৬টি খালের পুনরুদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে সিডিএ চাইলে চসিক সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করবে।
কারণ চসিকের জনবল ও সরঞ্জাম রয়েছে যা সিডিএ’র তা নাই। কিন্তু চসিকের আর্থিক সক্ষমতা ততটুকু নেই। ১০০ দিনের অগ্রাধিকার লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে চসিক যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে তা চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, সিডিএ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে খাল-নালায় যে বাঁধ দিতে হয়েছে, এসব স্থানে বিকল্পভাবে দ্রুত পানি চলাচলের ব্যবস্থা বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই করতে হবে। অন্যথায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। তবে নগরবাসীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে চসিক জরুরি ভিত্তিতে নালা-নর্দমা-খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাজ শুরু করেছে।
সিডিএ চেয়্যারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, নগর উন্নয়নে চসিক-সিডিএ’র সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই। নগরীর ৩৬টি খাল পুনরুদ্ধারে চসিক কাজ করছে। এর মধ্যে ২২টি পয়েন্ট চিহ্নিত করে প্রকল্প কাজ চলমান রয়েছে। আগামী জুন মাসের আগে সিডিএ খালগুলোর পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবীদের সম্পৃক্ততা গুরুত্বপূর্ণ। তাই উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীদের নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করে কাজ করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন সামস, প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ শাহ আলী, অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজের, নগর পরিকল্পনাবিদ আব্দুল্লাহ আল ওমর, স্টেট অফিসার কামরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর